দেশ লিড নিউজ

শাহী সভায় যোগ দিয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ শিশিরের

এগরায় অমিত শাহের সভাতেই বিজেপিতে যোগদান সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন শিশির অধিকারী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে খোলাখুলি বিজেপিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। আর পদ্মে যোগদানের কথা ঘোষণা করেই বোমা ফাটালেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ। আর বললেন, আমরা আর ওর সঙ্গে নেই। আমরা মোদীজির সঙ্গে আছি। অমিত শাহকে সেকথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি। রবিবার এগরায় বিজেপিতে যোগদানের পর শিশির অধিকারী বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে মুক্ত করতে পারলে বাংলার যুবকরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাবে। বন্দর বানাতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরে।
তারপরেই শিশির অধিকারী সাফ জানালেন, তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করিনি। ওদের যা করার করে নিক। শুভেন্দুর সঙ্গে যা করেছে… আমাদের সঙ্গে যা করেছে… সেই জন্যই বিজেপিতে যোগ দিলাম। এটা আমার আত্মসম্মানের লড়াই। চিরকাল লড়াই করেছি। আগামী দিনেও লড়ব। এটা মেদিনীপুরের ইজ্জত বাঁচানোর লড়াই। তৃণমূল থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। রাজনীতি তো করতে হবে তাই বিজেপিতে।
তৃণমূলকে নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি কাঁথির সাংসদ। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁর সভায় আমাদের যেতে বারণ করেছেন। গত তিন মাস ধরে কলকাতা থেকে পয়সা খরচ করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নেতাদের পাঠিয়ে আমাকে আমার পরিবারকে অশ্রাব্য–কুশ্রাব্য গালিগালাজ করিয়েছেন’। শাহী সভায় শিশির অধিকারী এদিন বললেন, নন্দীগ্রামের জন্য আসল লড়াই লড়েছে শুভেন্দুই। নন্দীগ্রামে অনেক ভোটে শুভেন্দু জিতবে। মেদিনীপুর থেকে তৃণমূল এবার সাফ হয়ে যাবে। আমরা কীভাবে অত্যাচারিত, সেটা ইতিহাস বলবে। আমরা ফুটপাথের লোক। তাই আমাদের লড়াই করতে হবে।
তবে দিব্যেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগদান করছেন কি না এব্যাপারে কোনও কথা বলেননি তিনি। বলেন, দিব্যেন্দুবাবু তাঁর কাজ করবেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন জবাব পেয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, শুভেন্দুর হাত ধরে এবার কি শিশির অধিকারী, সৌম্যেন্দু অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারীও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন? যে জল্পনা আরও উস্কে ওঠে ডিসেম্বর মাসে খড়দায় সভা থেকে শুভেন্দুর রামনবমীতে আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে ঘোষণায়। এরপরই কিছুদিন পর দাদার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সৌম্যেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা যায়। এবার জল্পনা সত্যি করে শিশিরও পদ্মে।