জেলা

মঙ্গলকোট থেকে দাঁড়াতে নারাজ সিদ্দিকুল্লা

পুকুরে সাঁতার কাটতে পারে না, আবার ইংলিশ চ্যানেল জয়ের স্বপ্ন দেখছে! নাম না করে এইভাবেই আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকিকে কটাক্ষ করলেন পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। আবার মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে নাম না করে হায়দরাবাদের ‘উড়ন্ত পাখি’ বলে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী। এমনকী বর্ধমানে তিনি ঘোষণা করেন, এবারের নির্বাচনে আর মঙ্গলকোট থেকে প্রার্থী হতে চান না। সে কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
সিদ্দিকুল্লা পরোক্ষভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে দায়ী করে বলেন, ‘‌আমি মঙ্গলকোট কেন্দ্রে দাঁড়াব না। আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রীকে তা সরাসরি জানিয়েছে। ৫ বছর ওখানে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। ওখানকার মাটি উত্তপ্ত, সেটাও বলেছি। ওখানকার মাটি গরম। মেজাজ গরম। আর বীরভূম থেকে এই গরমটা খাওয়ানো হয়।’‌
জানা গিয়েছে, দলনেত্রীর কাছে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। গত ৫ বছরে কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। মতবিরোধ হয়েছে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে। একইসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাকি আরও বলেছেন যে, মঙ্গলকোটের বদলে বর্ধমানের কোনও আসন থেকে প্রার্থী করলে, এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন তিনি। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বর্ধমানেরই ভূমিপুত্র। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‌আমি কারও নাম করে গোলমাল বাড়াতে চাই না। সংসার বড় হলে এমনটা হয়েই থাকে। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ।’‌
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোট বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতির সঙ্গে দ্বন্দ্বই তাঁর মঙ্গলকোট আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখানেই তিনি আব্বাস সিদ্দিকি সম্পর্কে বলেন, ‘‌ফুরফুরা কোনওদিন রাজনৈতিক ছিল না। উনি পরের হাতে তামাক খাচ্ছেন। হায়দরাবাদ থেকে একজন উড়ে এসেছিলেন। বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছেন উনি। অন্য অনেক জায়গায় সেটা করেছেন। বাংলায় হায়দরাবাদের উড়ন্ত পাখি দরকার নেই।’‌