হাজরার সভা থেকেই মোটামুটি ডেডলাইন পিছোতে শুরু করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২১ ডিসেম্বরেও কিছু ঘটেনি। কিন্তু বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সভা থেকে ফের বিরোধী দলনেতা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তারিখ, মাস, সাল নিয়ে কথা বললেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী সভার উদ্দেশ্য বলেন, “আপনারা পঞ্চায়েতে লড়বেন তো? ছোট ছোট চোরগুলো তাড়াবেন তো? ১০০ দিনের কাজের টাকা চোরগুলোকে তাড়াবেন তো? আর বড় চোরটাকে আমার উপর ছেড়ে দিন।”
এরপরেই শুভেন্দু বলেন, “সবে তো সূর্যটা সবে ডুবেছে। সন্ধেটা হয়নি। ডেটটা বদল হবে, মাসটা বদল হবে। সালটা বদল হবে না। পাশাপাশি তিনি জানান, সামনের বছরটা আপনাদের খুব ভাল কাটবে। আপনারা যা চাইছেন তাই হবে।”
বুধবার ছিল তৃতীয় বড় তারিখ, ২১ ডিসেম্বর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ঘোষণা করা গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। আগের দুটি তারিখ ১২ এবং ১৪ ডিসেম্বর তেমন কোনও কিছু ঘটেনি। সরকার পড়ে যায়নি বা বড় ডাকাত ধরা পড়েনি। বাকি ছিল ২১ তারিখ। এই তারিখের রাজনীতি নিয়ে আগেই দলের অন্দরে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এবার কার্যত ঢোঁক গিলতে হল তাঁকে। তিনি জানিয়েছেন, তেমন কিছু হওয়ার বিষয় নেই। সুতরাং তাঁর হুঙ্কার হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে রাজ্যের মানুষের কাছে।
বুধবার মালদহে তৃণমূলের জনসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষে বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তার বার্তা, “শুভেন্দুকে দেখলেই জিজ্ঞাসা করুন, ও দাদা, ফুটো কলসি কি হল?” ডিসেম্বর তত্ত্ব নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বরের তিনটি তারিখ উল্লেখ করে তৃণমূলের একপ্রকার পতনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারই মধ্যে ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর পেরিয়ে গেলেও কোনও পরিবর্তন আসেনি।