উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও থমথমে গোটা এলাকা। সোমবার সকালেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন দেহাংশ। নীলগঞ্জ যেন আস্ত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এবার এই ঘটনায় সিবিআই-এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের জোড়া মামলা দায়ের করল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজর্ষি লাহিড়ী। প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে এই কারখানা চলত? কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, এত মানুষ কেন মারা গেল? এসব প্রশ্নের উত্তর এনআইএ তদন্তে খতিয়ে দেখার কথা জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেইসঙ্গে এই ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গি-যোগের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা পর ও সোমবার সকালে ফের মুণ্ডহীন দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। কোনও জায়গা থেকে পায়ের পাতা, কোনও জায়গায় ডান হাতের কনুই থেকে কাটা অংশ উদ্ধার হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে এখনও চলছে দেহ উদ্ধারের কাজ। জানা গিয়েছে, এখনও অনেকেই নিখোঁজ। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। ইতিমধ্যেই জঙ্গল পরিষ্কারের কাজও শুরু হয়েছে। কেননা জঙ্গলের মধ্যেই ছিল বোমা তৈরির মূল কারখানা। ঝোপের মধ্যেও দেহের কাটা অংশ পড়ে থাকতে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। রবিবারই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি।