তৃতীয় দফার পুরনির্বাচনে ফের হিংসা। বাংলাদেশে ভোটকেন্দ্রের দখল নিতে চলল গুলি, জখম বেশ কয়েকজন। দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজনৈতিক হিংসাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটায় তৃতীয় দফার আগে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়। কিন্তু তাতেও এড়ানো গেল না প্রাণহানি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় বাংলাদেশের ৬৩টি পুরসভার নির্বাচন। এই দফায় কাগজের ব্যালটে ভোট নেওয়া চলছে। আর ভোটগ্রহণের শুরুতেই ঘটে হানাহানি। ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে দু’পক্ষের মধ্যে চলে গুলি বিনিময়। তাতে জখম হয়েছেন উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা জানান, আগের পর্বের নির্বাচনে হিংসার কথা মাথায় রেখে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভোটগ্রহণের তৃতীয় পর্বেও তার পুনরাবৃত্তি।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দখল নিতে গোলাগুলি চলে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ১২ জন জখম হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আহতদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। সূত্রের খবর, রামগঞ্জে ১৭টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯টিই স্পর্শকাতর হিসেবে শনাক্ত করা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুই পক্ষের নেতা, কর্মীদের মধ্যে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপি, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে ‘নৌকা’ প্রতীকে সিল মারা ও ব্যালট সরবরাহের অভিযোগে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা ভোট বয়কটের ঘোষণা করেন। এছাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বয়কট করেছেন।
