জেলা

তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন

দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নৃশংসভাবে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। এই শুটআউটের ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার গয়েশপুরে। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির বিজেপি’‌র দিকে। যদিও এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে খুন বলে পাল্টা দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত হিংসার রাজনীতি বাড়ছে। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে অন্ধ হয়েই এই শুটআউটের মতো ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন অনেকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম বাপ্পা সরকার। পেশায় চায়ের দোকানদার। বাপ্পা সরকারের বাড়ি সুকান্তনগরেই। রাতে নিজের দোকানের সামনে তিনি কথা বলার সময় কয়েকজনের সঙ্গে তার বচসা হয়। এরপরে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর বুকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বাপ্পা সরকার। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত বাপ্পা সরকারকে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের গয়েশপুর শহর সভাপতি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বাপ্পা সরকার গয়েশপুর পুরসভার ২২৫ নম্বর বুথের আমাদের দলের একজন এজেন্ট ছিলেন। বিজেপি’‌র লোকজন এদিন গয়েশপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে লিফলেট বিলি করেছিল। সেই লিফলেট বিলি করা নিয়ে আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী বাপ্পা সরকারের সঙ্গে কয়েকজনের বচসা বাঁধে। তখনই তাঁর বুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই তৃণমূল কর্মী। এই খুনের ঘটনার পেছনে বিজেপি’‌র লোকজন জড়িত।
বিজেপি’‌র পক্ষ থেকে দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তীর দাবি, এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এলাকায় এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী তাদের দলের এক নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাপ্পা সরকারের বুকে লাগে। মৃত বাপ্পা সরকারের ছেলে বিশাল সরকারের বক্তব্য, ‘‌আমার বাবার কোন শত্রু ছিল বলে জানা নেই। আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করতেন। কেন যে আমার বাবাকে খুন হতে হল, তা আমি বুঝতে পারছি না।’‌