জেলা

বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি

কোচবিহারে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে জেলা বিজেপি’‌র সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মনের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়াযর কারণে বেঁচে গিয়েছেন অভিজিৎ বর্মন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, আক্রান্ত বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাথাভাঙায় গিয়েছিলেন অভিজিৎ। তাঁদের বাড়ি হয়ে তিনি মাথাভাঙা থানাতেও যান। সেখানে তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান হামলা চালানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?‌ আক্রান্ত বিজেপি’‌র জেলা সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, মাথাভাঙা শহরের বিজেপি’‌র দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার পথে এলাকার শনি মন্দির পেরিয়ে আব্বাসউদ্দীন সেতু লাগোয়া এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী আমায় গুলি করে। যদিও আমার গায়ে গুলিটি লাগেনি, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। গুলিটি আমার গাড়ির পেছনে লেগেছে।
সমস্ত বিষয় জানিয়ে বিজেপি জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, ‘‌অভিজিৎ বর্মনের গাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। যার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে তৃণমূলের কাছে। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, ‘‌গুলি, বোমা বিজেপিই ব্যবহার করে। বৃহস্পতিবার তুফানগঞ্জে খালিদ মিঞা নামে এক তৃণমূলকর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বিজেপি। কোচবিহারে বোমা, গুলির নেতা হল বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুন–ডাকাতির মামলা রয়েছে। তিনি সাংসদ হওয়ার পরে কোচবিহারে খুন বেড়ে গিয়েছে।’‌