জেলা

শোলা–শিল্পীকে শিক্ষাগুরু সম্মান

এবার দেশের ‘শিল্পগুরু’ সম্মান পাচ্ছেন মঙ্গলকোটের বনকাপাশির রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শোলাশিল্পী আশিস মালাকার। হস্তশিল্পে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আশিসবাবুকে এই সম্মান দিচ্ছেন। দেশে মোট ১০জন হস্তশিল্পীকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের হস্তশিল্প বিভাগ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
আশিসবাবু বলেন, ‘‌এটা আমার কাছে চূড়ান্ত সম্মান। আমার বাবাও পেয়েছিলেন। উনি বেঁচে থাকলে খুবই খুশি হতেন। বাবার কাছেই এই শিল্প শিখেছি। আমি আপ্লুত।’‌

১৯৭৯ সাল থেকে শোলাশিল্পের জন্য প্রচুর পুরস্কার এনেছেন শিল্পীরা। ১৯৯০ সালে তৎকালীন দেশের রাষ্ট্রপতি রামেশ্বর ভেঙ্কটরমনের হাত থেকে পুরস্কার এনেছিলেন আশিসবাবু। তার আগে শোলা শিল্পের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁর ঠাকুমা কাত্যায়নী মালাকার। পরে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান আশিসবাবুর বাবা শোলাশিল্পী আদিত্য মালাকার। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার আদিত্যবাবুকে ‘শিল্পগুরু’ সম্মানে ভূষিত করেন।

মঙ্গলকোটের বনকাপাশি গ্রাম শোলাশিল্পের জন্য দেশজুড়ে খ্যাত। প্রতিবছর গ্রামের শোলাশিল্পীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় প্রতিমা বা মণ্ডপ সাজাতে যান। শোলার বিভিন্ন ধরনের চাঁদমালা, শোলার উপর চুমকি বা জরি বসিয়ে প্রতিমার সাজ নিয়ে তাঁরা পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে। আবার শোলার তৈরি নানা শো-পিস বিদেশেও পাড়ি দেয়। আশিসবাবুর শোলাশিল্পের কাজ আন্তর্জাতিক স্তরেও স্বীকৃত। ন’টি দেশে তাঁর শিল্পকর্ম প্রশংসিত হয়েছে। তাছাড়া স্কটল্যান্ডের এডিনবারা মিউজিয়ামেও মঙ্গলকোটের এই শিল্পীর শিল্পকর্ম সংরক্ষিত করা আছে।