শরদ পাওয়ার পাশে থাকার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিল শিবসেনা। একদা তারা এনডিএ জোটে ছিল। অধুনা তারা এনসিপি–কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার চালাচ্ছে। সেখানে ব্যাপক প্রচার করেও বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে দল ভাঙাচ্ছে বিজেপি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকতে আর বিজেপি’র বিরোধিতা করতে বার্তা দিল শিবসেনা।
কেন্দ্রের শাসক দলকে নিশানা করে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’–য় লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে, তার বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির উচিত মমতার পাশে থাকা। শুধু তাই নয়, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করতে কেন্দ্র ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বড় মাপের সমাবেশ এবং রোড শো চলছে।’
শিবসেনার দলীয় মুখপত্রে লেখা হয়েছে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার জাতীয় পর্যায়ে এক স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাকী লড়াই চালাচ্ছেন। দেশের বিরোধী দলের উচিত এই সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানো। কংগ্রেস নেতৃত্বের এগিয়ে আসা উচিত ছিল। বিজেপি’র বিরুদ্ধে বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা, অকালি দল, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), অখিলেশ যাদব, জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী- প্রত্যেকেই বিজেপি’র বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি–সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শিবসেনা প্রাদেশিকতার কথা বলছে। মমতা পশ্চিমবঙ্গকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চাইছেন। আমরা সারা দেশের সব জায়গায় আছি। দেশ এখন সব থেকে বেশি সংগঠিত এবং সুরক্ষিত।’
