রাজ্যের ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে শিবসেনা। কিন্তু যে রাজ্যে দলের ‘অস্তিত্ব’ নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে, সেখানে কী উদ্দেশ্যে প্রার্থী দিতে চলেছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দল? রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে এই প্রশ্নে। ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে ভোট ভাগাভাগির চেষ্টা চলছে এখানে। সম্প্রতি এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ও পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির বৈঠকের পর রাজ্যের মুসলিম ভোট ভাগাভাগি হতে পারে বলে চিন্তায় পড়েছেন অনেক তৃণমূল নেতা। এবার বড় খবর, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে শিব সেনা। আর দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতে আসবেন স্বয়ং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এই খবর পাওয়ার পরেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের হার্টবিট বাড়তে শুরু করেছে।
পশ্চিমবঙ্গে শিবসেনার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার ঘোষণা করেন, শিবসেনা, আমরা বাঙালি, উত্তরবঙ্গ সমাজ পার্টি, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী পরিষদ এবং ঝাড়গ্রামের কোনও সংগঠনকে নিয়ে তৈরি জোট পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে হুগলি, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, দমদম, ব্যারাকপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম–সহ বিভিন্ন জায়গায় কমপক্ষে ১০০টি আসনে শিব সেনার প্রার্থী দেওয়া হবে। তার জন্য আগামী ২৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে এসে এখানকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অনিল দেশাইয়ের।
টাইমস নাও–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে আসতে পারেন শিবসেনা প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে জোট ভাঙার পর থেকেই শিব সেনা ও বিজেপি’র মধ্যে পুরনো বন্ধুত্ব পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু ভোট ব্যাংকে শিবসেনার ভাগ বসানোর চেষ্টাকেও বিজেপি খুব একটা ভালভাবে মেনে নিতে পারছে না বলে সূত্রের খবর। মিম–কে দিয়ে সংখ্যালঘু ভোট কাটার ছক ছিল বিজেপি’র। এবার শিবসেনা–কে দিয়ে পাল্টা হিন্দু ভোট কাটার রণকৌশল নেওয়া হল। তাহলে ভোট কাটাকাটি হলে লাভ হবে সেই তৃণমূলেরই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।