দেশ ব্রেকিং নিউজ

তুমুল অশান্তিতে ইস্তফা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

বিদ্রোহী নেতাকে গুলি করে হত্যাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল শিলং। স্বাধীনতা দিবসের দিন শহর জুড়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে রাতে ইস্তফা দিয়েছেন মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাখমেন রিম্বুই। পেট্রোল বোমা ছোড়া হয় মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বাসভবন নিশানা করেও। তবে কেউ হতাহত হননি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিলং বিস্ফোরণের তদন্তের সূত্র ধরে এইচএনএলসি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেরিস্টারফিল্ডের থাঙ্খেয়ের বাড়িতে হানা দায় পুলিশ। এর পরেই তাঁকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের সূত্রে খবর, ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন চেরিস্টারফিল্ড।

পরিবারের দাবি, কিডনির কঠিন রোগে শয্যাশায়ী চেরিস্টারফিল্ড কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতেই পারেন না। তাঁর একটি হাতও অবশ। চেরিস্টারফিল্ডকে গুলি করার দু’ঘণ্টা পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁর বড় ছেলে নেইঘ্রিম হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও মেজ ছেলে পশুপালন দফতরের কর্মী।

রবিবার চেরিস্টারফিল্ডের শোকযাত্রার বিরাট কনভয় শিলং শহর ঘোরার পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। মাওলাই বাইপাসে পুলিশের গাড়ি ও অস্ত্র কেড়ে নিয়ে শহরে চক্কর কাটে চেরিস্টারফিল্ডের অনুগামীরা। পরে জ্বালানো হয় সেই গাড়ি।
শিলং রোডেও আক্রান্ত হয় অনেক গাড়ি। পরিস্থিতি সামলাতে রবিবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত শিলং শহর, মাওলাই, মিলিয়েম, মাওপাট, আপার শিলং–সহ বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারি করেছেন জেলাশাসক ইসাওয়ান্দা লালু। বন্ধ থাকছে সব যান চলাচল, দোকানপাট, দফতর। পূর্ব ও পশ্চিম খাসি হিল, দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিল ও রি-ভয় জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিরোধীদের দাবি, চেরিস্টারফিল্ডকে হত্যা করে শিলং বিস্ফোরণে গোয়েন্দা ব্যর্থতা থেকে মুখ বাঁচাতে চেয়েছিল পুলিশ। বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা উচ্চপর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বলেন, ‘‌মেঘালয়ে জঙ্গি সন্ত্রাসের সময়েও পুলিশ আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিদের বাড়িতে ঢুকে এ ভাবে হত্যা করেনি।’‌ রাজ্য মানবাধিকার কমিশন বিবৃতিতে জানায়, সংঘর্ষ নিয়ে পুলিশি রিপোর্ট আদপেই সন্তোষজনক নয়। মুখ্য সচিবকে ১৫ দিনের মধ্যে বিশদ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর পরেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।