নন্দীগ্রামে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি প্যারাশুটে নামিনি। লিফ্টে করেও উঠিনি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠে এসেছি।’ সেই মন্তব্য ছিল দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই। আর রবিবার দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন দলের আরেক বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। শুভেন্দুর সুরেই তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে সম্মান অনেক বড় আমার কাছে। আমিও অনেকের মতই সিঁড়ি ভেঙেই এখানে এসেছি।’ ব্যস, তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু এখন কেউ কেউ বলে বেড়াচ্ছেন, মুকুল রায়ের কাছ থেকে আমি নাকি ৭ কোটি টাকা নিয়েছি। আর অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে আমাকেও নাকি গ্রেপ্তার করা হবে।’ তিনি শুভেন্দুকে খানিকটা বার্তা দিলেন বটে। তবে দসের কেষ্টবিষ্টুদেরও তিনি আগাম জানিয়ে রাখলেন, তাঁর রাস্তাও খোলা।
উল্লেখ্য, আগেই শীলভদ্র জানিয়েছিলেন, ব্যারাকপুর থেকে আর ভোটে লড়বেন না তিনি। এদিনও তিনি জানান, ভোটে আর দাঁড়াব না আমি। যদিও দল এখন আমার অসুস্থতার দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু আসল কথাটা যে কী, সেটা সবাই জানে। কিন্তু কেউ প্রকাশ্যে তা বলতে পারছে না। এখন প্রশ্ন উঠছে, এবার কি সামনের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বিজেপিতে যাবেন শীলভদ্র?
এদিন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে নিয়েও তির্যক মন্তব্য করেছেন শীলভদ্র। তবে, সরাসরি নাম নেননি তিনি। নাম না করে জানান, একটা বাজারি কোম্পানি এখন এখানে টাকা নিয়ে ভোট করাতে এসেছে। তারা আমাকে বলছে আপনাকে ভোট নিয়ে কিছু ভাবতে হবে না। ভোট আমরাই করাব। ১০ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি। আর আমাকে এখন রাজনীতির জ্ঞান দিচ্ছে। আমি এই পরিবেশে আর মানিয়ে নিতে পারছি না।