বাংলাদেশ

‘‌হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র ফাঁস হবেই’‌

ভারতের স্বাধীনতা দিবস আর বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহদাত উপলক্ষে এই দিনটি শোকের আবহে উদযাপন করে থাকেন ওপার বাংলার বাসিন্দারা। রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর কন্যা তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‌১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা ছিল, তা একদিন বেরিয়ে আসবেই। আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। চার নেতাকে হত্যার বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।’‌

সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতা–বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন, গণতন্ত্র বিরোধী চক্রের যে কোনও ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামাকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।
ঘাতকরা জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন পুত্র-বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রব সেরনিয়াবাত–সহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করে।

বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহদাতবার্ষিকীতে এই বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীকে এক বার্তায় এই সমবেদনা জানান।