বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। আর সেই বিরিয়ানির ভেতরে থাকা মাংসটি যদি হয় কুকুরের, তবে কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হতে পারে ভাবুন তো! হ্যাঁ বাস্তবে এই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের সাভারের আশুলিয়ায় নরসিংহপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এক বিরিয়ানির দোকানে, যার নাম ‘আল্লাহর দান-৫’।
ইতিমধ্যেই কুকুরের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করার অভিযোগে দোকানের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বিল্লাল নামের তার এক সঙ্গী ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ‘আল্লাহর দান’ বিরিয়ানির দোকানের মালিক রাজীব বরিশাল জেলার মুলাদি থানার নুনচর গ্রামের বাসিন্দা এবং পলাতক বিল্লাল হোসেন সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই। আশুলিয়া এলাকায় সবমিলিয়ে তাদের মোট সাতটি বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকেই মোটা টাকার অর্থ উপার্জন করে এই দুই ভাই।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি এই বিরিয়ানির দোকানে খেতে আসেন। বিরিয়ানি খেতে গিয়ে কোনো কারণে তাঁর মনে সন্দেহ জাগে। এরপর সেই সন্দেহের বশেই খাবারের ভিতর থাকা মাংসের সম্পর্কে জানতে চাইলে উল্টে তাঁকে চুপ করিয়ে দেয় রাজীবরা। পরিস্থিতি খারাপ দেখে সেই মুহূর্তে সেখান থেকে চলে যায় সে। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। পরবর্তীতে কয়েকজন সাংবাদিককে নিয়ে আবার ওই দোকানে যান তিনি। আলমগীরের প্রশ্নের উত্তর না দিলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বিল্লাল তাদের ওপরেও চড়াও হয় বলে অভিযোগ আর এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জানা গিয়েছে,পুলিশ ওই দোকানে বিরিয়ানির মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে আদতে কিসের মাংস দেওয়া হতো ওই বিরিয়ানির মধ্যে।