বাংলাদেশ

নদীপথ ফেরাতে খননের পদক্ষেপ হাসিনা সরকারের

তিনি ছিলেন কুপি–হ্যারিকেনের দেশের খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যদেবতা। তাঁর আপন ছিল বাংলার নদ–নদী–খালবিল। নদী বাঁচনোর ডাক দিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি বলতেন, আমার কৃষক ভাইরা ফসল ফলায়, তারা নদীপথে পণ্য–পরিবহন করতে পারলে খরচ কমবে। তারা অর্থের মুখ দেখবে। তাই নৌপথ সচলে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহের ছিল। বঙ্গবন্ধুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় ফের জেগে উঠেছে বাংলার জলপথ।
সম্প্রতি ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের মহাপরিকল্পনার কাজ হাতে নিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রহ করা ৭টি ড্রেজারের জায়গায় বাংলাদেশ আজ আধুনিক ড্রেজারের মালিক। সবটাই এসেছে শেখ হাসিনার হাত ধরে। বিশ্বকে তাক লাগানো নৌবন্দর এবং জলপথ সচল রাখতে দেশজুড়ে শত বছরের পুরনো নদীর গতিপথ ফেরাতে খনন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে হাসিনা।
নদী মাতৃক আবহমান বাংলাদেশ। এখানে আজও দেখা মেলে শেষ বিকেলে পালতোলা নৌকায় বাড়ি ফেরার পথে দরদী সুরে গান গাওয়ার দৃশ্য। এটাকেই জীবন দিয়ে ভালবেসে ছিলেন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ‘শত বছরের পুরনো নদীর গতি পথ ফিরিয়ে আনা’।
বাংলাদেশে বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর জেলা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ। নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মেহমুদ চৌধুরী শনিবার শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র সেতু সংলগ্ন স্থানে এই ড্রেজিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। মুজিববর্ষে দেশগড়ার শপথ নিয়ে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান খালিদ। তিনি বলেন, ‘‌বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছেন।’‌
পুরাতন ব্রম্মপুত্র নৌপথ খননের মাধ্যমে শেরপুর এলাকার বিশেষ করে জামালপুর–শেরপুর জেলার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলার নৌবাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‌নদী খননের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নয়, আন্তর্জাতিক জলপথেও নৌ–বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে। নৌবাণিজ্য আলো ছড়াচ্ছে। এতে করে কর্মসংস্থান হচ্ছে। হঠানো হচ্ছে বেকারত্ব। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষি নির্ভর কার্যক্রম।’‌