বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী খুন, তোলপাড় বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। ঢাকার একাধিক সংবাদমাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত মেজরের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমনকী অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। কারণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে স্বেচ্ছা অবসর নেন তিনি। সেই মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মহম্মদ রশিদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সিনহার মৃত্যুতে এখন বাংলাদেশ তোলপাড়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন সিনহা। জবাবে তাঁকে গুলি করে পুলিশ বাহিনী।
বাধ্য হয়ে এবার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘটনায় জড়িত ১৬ জন পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে বাংলাদেশের সরকার। গত শুক্রবার ঢাকার কক্সবাজারের কাছে এক চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মহম্মদ রশিদ খান। পুলিশের দাবি, তাদের লক্ষ্য করে বন্দুক তাক করেছিলেন প্রাক্তন কম্যান্ডো। আত্মরক্ষায় গুলি চালান পুলিশকর্মীরা। গোটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রেস সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআই–কে বলেন, ‘‌রশিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তদন্তের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’‌
কী হয়েছিল শুক্রবার? স্থানীয় সূত্রে খবর, ঢাকার কক্সবাজারের কাছে একটি চেকপোস্টের সামনে সিনহাকে গুলি করে পুলিশকর্মীরা। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার আসছিলেন সিনহা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। তখন ওই চেকপোস্টে সিনহার গাড়ি আটকায় পুলিশ। পরিচয় জানার পর ও গাড়ির কাগজপত্র দেখে সিনহার গাড়ি ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু গাড়ি স্টার্ট দিতেই আবার তাঁকে দাঁড়াতে বলেন পুলিসকর্মীরা। তখনই চটে যান সিনহা। গাড়ি থেকে নেমে তিনি পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। সিনহাকে তিনটি গুলি করেছিলেন পুলিসকর্মীরা।
ঘটনাস্থল দিয়ে তখন যাচ্ছিলেন এক গোয়েন্দা কর্তা। চেকপোস্টে পৌঁছে গোটা বিষয়টি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন। তবে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেন পুলিশকর্মীরা। দূরে সরিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয়দেরও। পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, গুলিবিদ্ধ সিনহাকে ২ ঘণ্টা বাদে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাই সিনহার মৃত্যুতে পুলিশের ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠেছে। বাংলাদেশ পুলিশের তরফে অবশ্য কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি এই নিয়ে।