গভীর রাতে বৈঠক কেন? এই প্রশ্নই এখন নানা জল্পনার সৃষ্টি করেছে। কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আঘাদি সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। সেই জল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ হল সোমবার গভীর রাতে যখন একান্ত বৈঠক করলেন উদ্ধব ঠাকরে আর শরদ পাওয়ার। তাহলে কী নতুন কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে? এই সরকার পাঁচ বছর টিকে থাকবে তো? এই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
করোনাভাইরাস এবং লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার কৌশল নিয়ে জোট সরকারের মধ্যে মতান্তর হচ্ছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার যে প্রস্তাবগুলি দিয়েছেন, সেগুলি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মানছেন না আর তাই সরকারের ওপর থেকে এনসিপি’র সমর্থন তুলে নেওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেখানে সোমবার রাতে উদ্ধবের বাসভবন মাতোশ্রীতে মিলিত হন দুই নেতা।
এদিকে জোট অটুট আছে, জটিলতা নেই, সরকার পড়ে যাচ্ছে না এবং এনসিপি আর শিবসেনার মধ্যে কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি, পুরোটাই বিজেপি’র চাল সেটা বারবার বলে দুই দল। এমনকী জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করা হবে, সেই নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। মঙ্গলবার সকালে টুইট করে সেনার নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দেন, মহারাষ্ট্রের সরকারের স্থিতাবস্থা নিয়ে কারও কোনও চিন্তার দরকার নেই।
এদিন টুইট করে তিনি জানান, শরদ পাওয়ারজি আর উদ্ধব ঠাকরেজি সোমবার মাতোশ্রীতে দেড় ঘণ্টার বৈঠক করেন। কেউ যদি তার মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে, সেটা তাদের পেট ব্যাথা। সরকার যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে। কোনও চিন্তা নেই।
অন্যদিকে সোমবার বিকেলে রাজভবনে গিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করেন শরদ পাওয়ার। সঙ্গে ছিলেন এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেলও। তাতেই জল্পনা বাড়তে পারে। শিবসেনার ওপরে আস্থা হারিয়েই শরদ রাজ্যপালের কাছে গিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও তা উড়িয়ে দিয়ে শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারই ছিল বলে জানান প্রফুল প্যাটেল।