নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদে কর্মরত ছিলেন। গ্রেফতারির পর তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বিদ্যুৎ দফতরের চাকরিও হারালেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমে কাজ পেয়েছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাবা রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের হেড ক্লার্ক ছিলেন। কিন্তু শান্তনুর শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় নিচু পদেই চাকরি পান তিনি। হুগলির খানাকুলে প্রথম কর্মস্থল থাকলেও পরে বদলি হয়ে আসেন বাড়ির কাছেই সোমরাবাজার বিদ্যুৎ অফিসে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর নিয়ম মেনেই তাঁকে সাসপেন্ড করল বিদ্যুৎ পর্ষদ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হুগলি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তাঁর চালচলনে বদল আসতে শুরু করে। সেই সময় থেকেই অফিসে কম যেতেন তিনি। মাসে এক বা দুদিন তাঁকে অফিস যেতে দেখা যেত। এসইউভি গাড়িতে অফিস যেতেন সঙ্গে ৪-৫ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে। খুব অল্প সময় থাকতেন অফিসে।
২০১৮ সালে রাজনৈতিকভাবে শান্তনুর পদোন্নতি হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি তারকেশ্বর থেকে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। কিন্তু এরপরও সরকারি চাকরি করতেন শান্তনু। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ জানালেও তিনি চাকরি ছাড়েননি। কিন্তু এবার গ্রেফতার হওয়ার পর চাকরি খোয়াতে হল তাকে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মচারী যদি ৭২ ঘণ্টার বেশি পুলিশ হেফাজতে থাকেন তাহলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই নিয়মেই চাকরি গেল শান্তনুর।