সন্দেশখালি কাণ্ডে ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করল সিবিআই। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই এই আটজনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। শাহজাহানকেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
শুক্রবারই সরবেড়িয়া এলাকায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আট জন সম্পর্কে তথ্য নিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা অফিসারেরা। এই আটজনই শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, ৫ জানুয়ারি ইডি অফিসাররা শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছনোর পর পুরো ঘটনা পরিচালনা করেন জিয়াউদ্দিন। ওইদিন জিয়াউদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করেন শাহজাহান। এরপরই উঠে আসছে গাড়ি চালক মারুক মীরের কথা। অভিযোগ, শাহজাহানের বাড়িতে ইডি অভিযানের খবর তৎক্ষনাৎ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ গ্রামের বেশ কয়েকজনকে পৌঁছে দিয়ে লোক জড়ো করেছিলেন মারুক।
ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানকে হাতে পেয়েছে সিবিআই। বুধবার সন্ধ্যা প্রায় পৌনে সাতটা নাগাদ বহু টানাপড়েন শেষে আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শাহজাহানকে হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শেখ শাহজাহানের ঠিকানা আপাতত নিজাম প্যালেস। সন্দেশখালি মামলায় মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত করবে সিবিআই। একইসঙ্গে ধৃত শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, শাহজাহান মামলায় হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল তৃণমূল সরকার। এরপর বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।