রাজ্য

খাস কলকাতায় মধুচক্রে গ্রেপ্তার অভিনেতা

শহরের স্পা সেন্টারের মোড়কে রমরমিয়ে চলছিল দেহ ব্যবসা। মধুচক্রের এই মোড়ক গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ধরে ফেলে। হানা দিতেই পর্দাফাঁস হয় মধুচক্রের। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পুলিশের জালে ধরা পড়ে এক সিরিয়াল অভিনেতা–সহ মোট ১৬ জন। বাংলা সিরিয়ালের এক অভিনেতা–সহ ১৬ জন ধরা পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই গোটা অপারেশনটি করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
টালিগঞ্জ ও তারাতলা থানা এলাকায় দুটি স্পা সেন্টারে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ এবং ডিডি। স্পা সেন্টারে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় অফিসারদের। স্পা সেন্টারের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। ভিন রাজ্যের বেশ কয়েকজন তরুণীও সেখানে ছিল। অর্থ রোজগারের জন্য এই পথকে বেছে নিয়েছিল তারা। প্রত্যেকের বয়স ২৩–২৫ বছরের মধ্যে। তাদেরকে এই পেশায় নামিয়ে সেখান থেকে রোজগার করত এই অভিনেতা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড়ের ওই স্পা দুটিতে মধুচক্র চালানো হচ্ছে বলে কিছুদিন আগে আসে। তখন থেকে নজরে ছিল স্পা দুটি। এরপর কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে হানা দেয় সেখানে। প্রথমে তল্লাশি চালানো হয় রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের স্পা’তে। সেখান থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে সাতজন ক্রেতা হিসেবে গিয়েছিলেন সেখানে। তাঁদের মধ্যে একজন বাংলা সিরিয়ালের পরিচিত মুখ। তিনিও নাকি ক্রেতা হিসেবেই ওই মধুচক্রের আসরে গিয়েছিলেন বলে অভিনেতার দাবি।
টালিগঞ্জ থানা এলাকার রাসবিহারী অ্য়াভিনিউতে অবস্থিত ব্লজম থাই স্পা সেন্টার থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সৌগত নামে টলিউডের এই সিরিয়াল অভিনেতাকে। ওই স্পা সেন্টারের মালিক, ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, খদ্দের–সহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮ জন তরুণীকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের সবাইকেই হোমে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কতদিন ধরে স্পায়ের আড়ালে মধুচক্রের আসর বসছিল? নেপথ্যে আর কারা রয়েছে?‌ তা জানার চেষ্টা চলছে।