রাজ্যে বিধানসভা ভোট আসন্ন। এর মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে বিপুল পটবদল ঘটে চলেছে। সেই পটবদলের মধ্যেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৭ জন পর্যবেক্ষককে নিয়োগ করল। এঁরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দলের কাজকর্ম দেখা শোনা করবেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি’র পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে পাঁচজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এঁদের পাশাপাশি খুব শীঘ্রই কেন্দ্র ও বিজেপি শাসিত রাজ্য মিলিয়ে সাত মন্ত্রীকে বাংলার নির্বাচনের কাজে ময়দানে নামানো হচ্ছে। এই মন্ত্রীরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করবেন, দলের হয়ে প্রচার করবেন। মানুষের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করবেন এবং সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বা অমিত শাহের হাতে তুলে দেবেন।
এই সাত হেভিওয়েট পর্যবেক্ষকের মধ্যে পাঁচজনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এছাড়াও আছেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে প্রত্যেক মন্ত্রীকে ৬টি করে লোকসভার দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেই বিজেপি সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য, জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, পর্যটন ও সংষ্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল এবং পশুপালন মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ানের নাম এই তালিকায় রয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য এবং মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে।
দু’রাজ্যের সিনিয়র মন্ত্রী পরিষদকেও বাংলায় নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যকে বাংলার হাওড়া ও হুগলির ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের প্রবীণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রকেও বাংলার নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নরোত্তম মিশ্র বাংলার বর্ধমান অঞ্চলের ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের কাজ দেখবেন। এঁরা প্রত্যেকেই ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’ অর্থাৎ মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কথা বলবেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন কর্মসুচি নিয়ে প্রচার করবেন। সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি ঠিকমতো রূপায়িত হয়েছে কিনা এবং সেই প্রকল্পের সুবিধা মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়েও খোঁজ খবর নেবেন। নতুন বছরের শুরু থেকে প্রচারের কাজ শুরু কথা ভাবা হচ্ছে। জানুয়ারি থেকেই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার প্রচারের লক্ষ্যে সরকারি ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন বলেই ঠিক হয়েছে।
