অক্সফোর্ডের কোভিড টিকা ধাক্কা খেয়েছে। ভারতে এই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকা পুনরায় এই ট্রায়াল আবার শুরু না করা পর্যন্ত ভারতে তারা এই টিকার ট্রায়াল বন্ধ রাখবে। এবার তাদের নির্দেশ দেওয়া হল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন স্বেচ্ছাসেবকও নিয়োগ করতে পারবে না তারা। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এই নির্দেশ দিয়েছে।
যাঁদের শরীরে ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি নজর রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নোটিশের জেরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে কোভিশিল্ড তৈরিতে ভারতীয় পার্টনার সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
এখন পুনরায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ শুরু করার আগে ব্রিটেনের ডেটা অ্যান্ড সেফটি মনিটরিং বোর্ড আর তাঁর নিজের অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আদায় করতে হবে।এই বিষয়ে কেন কিছু জানানো হয়নি, তা পুনের এই সংস্থার কাছে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় অক্সফোর্ডের কোভিড ভ্যাকসিনের মানবশরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আপাতত বন্ধ রেখেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দেশের ১৭টি স্থানে তার পরেও ট্রায়াল চালিয়ে যায় পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এই বিষয়ে নোটিস পাঠিয়ে তাদের কাছে জবাবদিহি চায় সেন্ট্রাল ড্রাগ রেগুলেটর।
স্বেচ্ছাসেবকের এই অসুস্থতার সম্পর্কে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বড় ধরনের পরীক্ষায় অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। এতে অস্বাভাবিকতা কিছুই নেই। তবে সেটা অবশ্যই স্বতন্ত্র একজন পরীক্ষককে সতর্কভাবে যাচাই করে দেখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জেনেভায় হু–এর প্রধান কার্যালয়ে সাংবাইক বৈঠকে বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আপাতত স্থগিত রেখেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এটা একটা ওয়েক আপ কল। আমাদের বুঝতে হবে যে ক্লিনিক্যাল ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতা থাকবেই। তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
