ফের বড় পতন শেয়ার বাজারে। শেয়ার বাজার থেকে মুছে গেল ৫ লক্ষ কোটি টাকা। যার জেরে সকলের কপালে ভাঁজ পড়েছে। এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, টিসিএস, ইনফোসিসের মতো সংস্থার শেয়ার বিক্রির জেরে এদিন বাজারে লেনদেন চালু হতেই হুহু করে নামতে থাকে শেয়ারের সূচক। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টাতেই সেনসেক্স পড়ে যায় ১৫০০ পয়েন্ট। নিফটিরও পতন হয় ৪২৫ পয়েন্ট।
বিএসই সেনসেক্স প্রায় ১,৬৭২ পয়েনেট নেমে দাঁড়াল ৩২ হাজার ৪৭০.২০ পয়েন্টে। এনএসই বেঞ্চমার্ক নিফটি ৪৭০.২০ পয়েন্ট নেমে দাঁড়াল ৯,৩৮৯.৭ পয়েন্টে। সব ব্যাঙ্কের শেয়ারগুলিই সোমবার সকাল থেকেই তলানির দিকে। রিলায়েন্সের ইতিহাসে সব থেকে কম লাভদায়ক কোয়ার্টারের রিপোর্ট পেশ হয়েছিল বৃহস্পতিবার। তার জেরে রিলায়েন্সের শেয়ারে ১ শতাংশ পতন দেখা যায়। জানুয়ারি–মার্চ ত্রৈমাসিকে রিলায়েন্সের লাভের অংশ পড়ে যায় ৩৭ শতাংশ।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার কমেছে ৯.০৪ শতাংশ। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ার কমেছে ৬.৬৯ শতাংশ। স্টেট ব্যাঙ্ক, ফেডারেল ব্যাঙ্ক–সহ সব ব্যাঙ্কেরই শেয়ারে বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। নিফটি ব্যাঙ্ক সূচক প্রায় ৭.১২ শতাংশ নিচে নেমেছে। নিফটির ৫০ টি সূচকের মধ্যে ৪টি রয়েছে সবুজ আলোয়, বাকি ৪৬টি লাল। করোনা আবহে চিন–মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের আবহ তৈরি হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতি এখন টালমাটাল অবস্থায়। তার উপরে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই করোনা লকডাউনের জেরে উৎপাদন বন্ধ। এই সবই ভারতীয় শেয়ারবাজারে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।