ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

যাদবপুর মৃত্যুকাণ্ডে নিরাপত্তারক্ষীর চাঞ্চল্যকর বয়ান

যাদবপুরের হোস্টেলে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের তিন তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। এবার সামনে এল হস্টেলের এক নিরাপত্তারক্ষীর বয়ান। তাঁর দাবি, ঘটনার দিনে তিনি উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পরে তাঁকে হস্টেল সুপার দ্বৈপায়ন দত্ত এবং ছাত্ররা বলেছিলেন, গেট বন্ধ রাখতে যাতে বাইরের কেউ ঢুকতে না পারেন!

তিনি আরও জানিয়েছেন, বুধবার রাতে তিনি যখন খাচ্ছিলেন, তখন একদল ছাত্র এসে তাঁকে হোস্টেলের বড় গেট খুলে দিতে বলে। জানায়, এক ছাত্র পড়ে গেছে। তার পরে তিনি গেট খুলতেই একটি হলুদ ট্যাক্সি করে ওই পড়ুয়াকে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য, ‘‘তারপর সেখানে পৌঁছয় অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু ততক্ষণে হলুদ ট্যাক্সি বেরিয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সও তার পর বেরিয়ে যায়।’’ তাঁর দাবি, এর পরেই দলে দলে ছাত্ররা এসে বলে যায়, গেট খুলবেন না। বাইরে থেকে যেন কেউ ঢুকতে না পারে। গেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন হস্টেল সুপার।

ওই নিরাপত্তারক্ষীর দাবি, সেই রাতে কলকাতা পুলিশের দু’জন এসেছিলেন। তাঁরা গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে কিছুটা গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। তারপর বেরিয়ে যান। ঘটনাস্থলে যান নি তারা। গেট বন্ধ করে দেওয়ার পরেও হস্টেলের বাইরে এসেছিলেন পুলিশের কয়েকজন। কিন্তু কেউ গেট খোলার কথা বলেননি। এমনকি ওই নিরাপত্তারক্ষীও ঘটনাস্থলে যাননি বলেই দাবি করেছেন।

এই ঘটনায় নতুন করে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে, কী কারণে বার বার গেট বন্ধ রাখার জন্য চাপ দিচ্ছিল ছাত্ররা? কেনই বা হস্টেল সুপারও ঘটনার পরে ছাত্রদের মতোই গেট বন্ধ রাখতে বলেন? পুলিশ ঢুকেও কেন ঘটনাস্থল পর্যন্ত গেল না?এখনো পর্যন্ত যাদবপুরকাণ্ডে মোট ন’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের সকলে হয় বর্তমান নয় প্রাক্তন ছাত্র।