কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে আসন যে ভরেনি, তা স্বীকার করে নিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। কিন্তু গোটা রাজ্যে ঠিক কতজন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন, তার কোনও উল্লেখ করেনি তারা। তবে রাজ্যে খালি আসনের হার যে অনেকটাই বেশি, তা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দপ্তরে পাঠানো তথ্যই প্রমাণ করে দিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তির সময় দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ আসন খালি রয়েছে গোটা রাজ্যে। তাই বাধ্য হয়েই আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তির পোর্টাল খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলেজগুলিকে।
এই বছর সব বোর্ড মিলিয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ পড়ুয়া দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করেছে। এই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হতে পারবেন তো, স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠে এসেছিল দ্বাদশের ফলপ্রকাশের পর। কিন্তু বাস্তবের ছবি ভিন্ন অভিজ্ঞতার জন্ম দিচ্ছে। জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, মালদহ, নদীয়া ছাড়া বাকি সব জেলায় খালি আসনের হার ৩০ শতাংশের বেশি। উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, আলিপুরদুয়ার এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট আসনের অর্ধেকের একটু বেশি ভরেছে।
কলকাতার কলেজগুলির মধ্যে গোয়েঙ্কা কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিট্রেশনে প্রায় সব আসনই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের চিত্রও প্রায় এক। ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি কলেজে ৯০ শতাংশের বেশি আসন ভর্তি হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে কলকাতার কলেজগুলিতে এখনও ফাঁকা আসন রয়েছে ৪০ শতাংশের বেশি। আনন্দমোহন কলেজ, বঙ্গবাসী কলেজ, চিত্তরঞ্জন কলেজ, মুরলীধর গার্লস কলেজ, সুরেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজ–সহ একাধিক কলেজে বহু আসন খালি পড়ে রয়েছে। এখানে ৫০ শতাংশের একটু বেশি আসনে পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে, আসানসোলের কাজি নজরুল এবং বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ শতাংশের সামান্য বেশি আসন ভরেছে। ভর্তির নিরিখে শীর্ষে রয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে স্নাতক স্তরে ৭১ শতাংশ আসন পূরণ হয়েছে। বাঁকুড়া এবং সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। এবার প্রায় সব কলেজেই অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু সেই অনুপাতে কোথাও ভর্তি হয়নি। বহু নামজাদা কলেজে এখনও একটা বড় সংখ্যক আসন খালি রয়েছে। আসলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর পড়ুয়াদের একাংশ কাজে ঢুকে পড়েছে। আবার একটি অংশ মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দিকে চলে গিয়েছে।
তবে এটাও ঠিক যে, খালি আসনের মধ্যে বেশিরভাগই সংরক্ষিত। তবে এই আসনগুলির চরিত্র বদল করে অসংরক্ষিত করে দিলে এতে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারবেন। তাই ৮ অক্টোবর পর্যন্ত কত সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হয়।