করোনা আবহে দীর্ঘ প্রায় দু’বছর বন্ধ থাকার পর রাজ্যে খুলতে চলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি। করোনা ও ওমিক্রনের আতঙ্ক কাটিয়ে অবশেষে স্কুলমুখী হবে কচিকাঁচারা। তার আগে স্কুল স্যানিটাইজেশনের ছবি দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। একাধিক স্কুলের শিক্ষকরা স্কুল খোলার নির্দেশ পেতেই স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। একদিকে স্কুলের ঘরগুলি অন্যদিকে শৌচাগারও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
এদিন দেখা গেল সন্দেশখালি, হাড়োয়া, হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদের মতো সুন্দরবনের একাধিক ব্লকের একাধিক দ্বীপে জোরকদমে শেষ মুহূর্তের স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলগুলিতেও একই ছবি ধরা পরেছে। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার আছে কিনা পুরোটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছুদিন আগে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল প্রাঙ্গনে স্কুল বসত। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা সব সময় চাইত তারা যেন তাদের নিজস্ব ক্লাস ঘরে গিয়ে পঠন-পাঠন করতে পারে। তাই পুনরায় স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়ায় তারাও খুশি। নতুন করে এই খুদে পড়ুয়ারা যাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে না পড়ে, তার জন্য যথেষ্টই তৎপরতার ছবি উঠে এল একাধিক জায়গা থেকে।
পশ্চিমবঙ্গের কোভিড সংক্রমণ কমতেই সোমবার নয়া কোভিড গাইডলাইন জারি করে চলতি সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক স্কুলগুলি খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। আপাতত ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস শুরু হবে। কঠোর বিধি মেনে তবেই স্কুলে প্রবেশের অনুমতি পাবে পড়ুয়ারা।