বাংলাদেশ

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ চার বন্ধুর

ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি। ২০১৯ সালেই এই আইন পাশ হয়েছে বাংলাদেশের সংসদে। রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করে আইন কার্যকর করায় সম্মতিও দিয়েছেন। তারপরও নির্মম ঘটনা ঘটল রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা কলাবাগানে। গণধর্ষণের শিকার হল এক ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী। তাকে গণধর্ষণ করেই ক্ষান্ত থাকেনি অত্যাচারীরা। ধর্ষণের পর অপরাধ লুকাতে খুন করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। অভিযোগ, এই জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করেছে তারই চার বন্ধু মিলে। চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এই ঘটনা ঘটে। ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায় তার চার বন্ধু। অভিযোগ, এরপর গণধর্ষণ করা হয় মেয়েটিকে। প্রমাণ লোপাট করতে তাকে খুন করা হয়। তবে শেষমুহূর্তে কিছু একটা ভেবে তার এক বন্ধুই মেয়েটিকে নিয়ে যায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে। চিকিৎসকরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মেডিকেল পরীক্ষায় বোঝা যায়, মেয়েটি গণধর্ষণের শিকার। এরপর হাসপাতাল থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং দিহান নামের যে ছেলেটি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, তাকে আটক করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ–কমিশনার (ডিসি) মহম্মদ সাজ্জাদুর রহমান জানান, ‘আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা মেয়েটির লাশ উদ্ধার করেছি। তাকে হাসপাতালে আনার পর কর্তৃপক্ষ মৃত বলে ঘোষণা করে। মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে বন্ধু দিহান, যাকে আমরা আটক করি। পরবর্তীতে হাসপাতালে তার আরও তিন বন্ধু আসে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা হেপাজতে রেখেছি।’‌