রাজ্য

‘‌বাড়ির জিনিস বিক্রি করে ফি দিন’‌

করোনার জেরে লকডাউন চলছে। তার জেরে আবার পঠান–পাঠন শিকেয় ওঠার জোগাড়। এই পরিস্থিতিতে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করলে যেমন চিকিৎসার খরচ দিতেই হয়, তেমনই বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে, ফি দিতেই হবে বলে কড়া নিদান শহরের বেসরকারি স্কুলের। আর তাতেই এখন প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা অভিভাবক মহলের। কারণ অনেকের এই পরিস্থিতিতে বেতন কাটা হচ্ছে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। কারও কারও চাকরি খোয়া গিয়েছে এই বাজারে। তাঁদের কাছে এটা বাড়তি চাপ।
তবে বিদ্যা বিনয় দান করে বলেই কথিত আছে। সেখানে বেসরকারি স্কুলের অমানবিক মুখ প্রকাশ্যে এসে গেল। অর্থাৎ এখানে টাকাই সব। বিদ্যা আজ বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে মাসিক বেতন নিয়ে অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ালো স্কুল চত্বরে। বেহালা ওরিয়েন্ট ডে স্কুলে সেই ছবিই ধরা পড়েছে। ফি মুকুবের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল থেকে অভিভাবকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে যে, আন্দোলন বিক্ষোভ হলে তার টার্গেট হবে বাচ্চারা।
এখানেই শেষ নয়। বেসরকারি স্কুল এতটাই অমানবিক হয়ে উটল যে, স্কুল থেকে বলা হল, প্রয়োজনে বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করেও ফি জমা দিতে হবে। না হলে স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হবে না বাচ্চাদের। সরকারি স্কুলে গিয়ে ভর্তি করাবার নিদানও দেওয়া হয়েছে। তবে অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও সাফ জানানো হয়েছে যে, এই পরিস্থিতিতে স্কুলের বর্ধিত ফি দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।