জেলা

করোনা আতঙ্কে কমল বাসের সংখ্যা

পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম, এসবিএসটিসি এবং এনবিএসটিসি’‌র একাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন তিনজন। করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসকর্মীদের মধ্যে। ফলে এই পরিস্থিতিতে কি পর্যাপ্ত সংখ্যায় সরকারি বাস চলবে? দেখা দিয়েছে সংশয়। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের ১৬ জন চালক ও কন্ডাক্টর–সহ ২৫ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন একজন। এছাড়া এসবিএসটিসি ও এনবিএসটিসি’‌র কর্মরত দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে করোনায়। ওই দুই সংস্থার আরও অন্তত ১৩ জন কর্মী করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন। তিনটি নিগমের চালক ও কন্ডাক্টরদের মধ্যে করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্রত্যেকদিনই।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম, এসবিএসটিসি এবং এনবিএসটিসি সকালের শিফটে ৯৮২টি বাস চালায়। বিকেলের শিফটে তা কমিয়ে করা হয় ৬৪০টি। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের এক কর্তা জানান, ‘যে রুটে যাত্রী বেশি রয়েছে আমরা সেখানে বেশি করে বাস চালাচ্ছি। যেখানে যাত্রী কম সেই রুটে কম বাস চালাচ্ছি। নিগম চালক ও কনডাক্টরদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। চালক–কনডাক্টরদের কেউই নিগমের কর্মী নন। তাঁরা এজেন্সির কর্মী। ছুটি বাতিল করে তাদের ডিপোয় রাখা হয়েছে। ডিপোগুলি রোজ স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।’
বেসরকারি বাস কমার জন্য মালিকরা করোনা আতঙ্ককেই দায়ী করছেন। চালক ও কনডাক্টরদের অনেকেই গাড়ি ছেড়ে বাড়ি পালাচ্ছেন। এবার দেখা যাচ্ছে, সরকারি বাস পরিষেবাও এই আতঙ্ক থেকে মুক্ত নয়। পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, কোনও কর্মী, চালক বা কনডাক্টরের শরীরে কোভিডের উপসর্গ নজরে আসা মাত্রই তাঁকে রাজারহাটের পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচজন চালক ও ১১ জন কনডাক্টরের করোনা ধরা পড়েছে। বাস কর্মীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁরা কাজে যোগ দিতেই ভয় পাচ্ছেন। ‌