জেলা

‘‌বিজেপিতে গেলে শুভেন্দুর মুখদর্শন নয়’‌

শুভেন্দু–পর্বে দ্রুত ইতি টানতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। তাই শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে সৌগত রায়ের চরম কটাক্ষের পর এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ নিজের রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু। এই নিয়ে জল্পনা চলছেই। তারই মাঝে বিরোধী শিবিরকে নিয়ে কটাক্ষের সুর সৌগতর গলায়।
বরানগরে তৃণমূলের এক জনসভায় যোগ দিতে এসে তৃণমূলের দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায় বিজেপির বেশকিছু নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‌তৃণমূলের জাহাজ থেকে একটা দুটো ইঁদুর পালিয়ে গিয়ে যদি বিজেপি নামক সাগরে ডুব দেয় তাহলে সে তৎক্ষণাৎ সেই সাগরে ডুবে মারা যাবে। আমি বলছি, দায়িত্ব নিয়ে। আমি সৌগত রায়। তিনবার আপনারা আমায় জিতিয়েছেন।’‌
তারপর শুভেন্দু ইস্যুতে সৌগতর মন্তব্য, আমাদের দলের অনেক ভালো নেতা ছিল। সে যতক্ষণ আমাদের পার্টিতে থাকবে, তার কোনও সমস্যা হলে আমি হাজারবার তার বাড়িতে গিয়ে বোঝাব বাবা সোনা করে। বলব যে, তৃণমূলে থাক যাস না। কিন্তু যখন শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবে আমি আর কোনওদিন শুভেন্দুর মুখদর্শন করব না।’‌
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই শুভেন্দুর ‘মানভঞ্জন’–এ সক্রিয় ছিলেন সৌগত। তিন দফায় শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ফোনে শুভেন্দুর বাবা তথা পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তৃতীয় দফায় গত মঙ্গলবারের বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে মুখোমুখি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন শুভেন্দু। বৈঠকের পর দৃঢ়ভাবে সৌগত জানান, সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। তৃণমূলেই থাকছেন শুভেন্দু।
কিন্তু ১৪ ঘণ্টা পরে সেই আপসে জল ঢেলে দেয় শুভেন্দুর হোয়্যাটসঅ্যাপ। সৌগতকে জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। পালটা উত্তর দেন সৌগতও। সূ্ত্রের খবর, দলের অন্দরে মমতাও জানিয়েছেন, শুভেন্দু এখন ‘ক্লোজড’ চ্যাপ্টার।