অমিত শাহ রাজ্য পা ফেলেই ক্ষুরধার রাজনৈতিক মন্তব্য করতে শুরু করে দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন মমতা সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় পা রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাত করে দেওয়ার ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি বহুদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই মন্তব্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূলের তরফেও অমিত শাহের মন্তব্যের রাজনৈতিক মোকাবিলা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মন্তব্যকে অমিত শাহর ‘দিবাস্বপ্ন’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি এদিন বলেন, ‘অমিত শাহ কী বললেন তাতে কিছু আসে যায় না। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি— ওঁর এই দিবাস্বপ্ন সফল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তিনি যে বলছেন যে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, সেটাও তাঁর দিবাস্বপ্ন।’
কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ‘অমিত শাহ নাটক করতে এসেছেন। সবে শীত পড়তে শুরু করেছে বাংলায়। কিন্তু তার মধ্যে রাজনৈতিক আসর রীতিমতো গরমই।’ মমতা সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন অমিত শাহ। এই কথাকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ সৌগতবাবু। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। এখানে বিজেপি–র কোনও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা হয়নি। অমিত শাহ যা বলেছেন তার কোনও রাজনৈতিক প্রভাবও পড়বে না। পশ্চিমবঙ্গে দলিত, আদিবাসী, গরিবদের স্বার্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেখছে এবং আগামীতেও দেখবেন।’
ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে রাজ্যে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি। বাঁকুড়ায় দাঁড়িয়ে এই কথা বলে বিজেপি’র লক্ষ্য আরও পরিষ্কার করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সৌগত রায়ের প্রশ্ন, প্রশ্ন, ‘বিজেপি যে সব রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে কি সোনার রাজ্য তৈরি হয়েছে? অমিত শাহ নিজের পার্টিকে সামলাক। ওরা যেভাবে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে, আগামী দিনে নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি লেগে যাবে।’
