সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর হিঙ্গলগঞ্জ সফরের আগেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যঙ্গাত্মক ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছিল বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা। সেই ব্যানারের নিচে লেখা ছিল তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেল। যদিও শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে সেই ব্যানার পড়লেও আইনি জটিলতায় হাইকোর্টের নির্দেশে সভা স্থগিত হওয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর আর হিঙ্গলগঞ্জে আসা হয়নি। সেই ঘটনার ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পুনরায় ব্যানারে ব্যানারে ছেয়ে গেল হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার একাধিক এলাকা।
মূলতঃ তৃণমূল কংগ্রেসকে পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করে সেই ব্যানার জনস্বার্থে প্রচার করা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে রাজ্যজুড়ে ১৯৫৬ রোগে আতঙ্ক। পাশাপাশি রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর নাম শুনলেই রোগীর ভয় হয়, খিঁচুনি হয়। বিজেপি নাম শুনলেই রোগী পুলিশের শরণাপন্ন হয়। পদ্ম ফুলের গন্ধ নিতে পারে না সহ একাধিক ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য। আক্রান্তের নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ‘কয়লা ভাইপো’ ও তার ‘পিসি’কে। পাশাপাশি একাধিক কুরুচিকর মন্তব্যও সেই ব্যানারে করা হয়েছে।
সেখানে লেখা রয়েছে, এলাকায় তাদের দেখলে থুতু ফেলুন, জুতো ও ঝাঁটাপেটা করুন। পাশাপাশি একদিকে যেমন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক জোড়া ফুলের ছবি রয়েছে পাশাপাশি হাওয়াই চটিকেও ব্যঙ্গাত্মক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
স্বভাবতই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করেই যে এই ব্যানার লেখা হয়েছে সে কথা বলাই বাহুল্য। যদিও এই ব্যানারের নিচে কোন দলের দায় স্বীকার বার্তা নেই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যানার ফেলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, তার প্রতিশোধ নিতেই হয়তো বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তারা জানেন না এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে। কে বা কারা এসে এই ব্যানার মেরে গিয়েছে সেটাও তারা জানেন না। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, এটা বিজেপিরই কাজ। তারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে নেমেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নামে এরকম কুরুচিকর মন্তব্য যেই করে থাকুক সেটা অসহনীয়। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকায় ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের দামামা বেজে গিয়েছে। তার মধ্যেই এই ব্যানার রাজনীতিতে যথেষ্ট সরগরম সুন্দরবনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।