মাদক তদন্তে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) দপ্তরে গেলেন সইফ আলী খানের কন্যা অভিনেত্রী সারা আলি খান। আজ শনিবার বেলা একটা নাগাদ মুম্বাইয়ে এনসিবি’র এসআইটি অফিসে তাকে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ওই একই অফিসে জেরা চলেছে শ্রদ্ধা কাপুরেরও। বেলা ১২টা নাগাদ মুম্বাইয়ে এনসিবি’র এসআইটি অফিসে পৌঁছান শ্রদ্ধা। অন্য দিকে এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ মুম্বাইয়ের কোলাবা অ্যাপোলো বন্দরের এভ্লিন গেস্ট হাউজে দীপিকার জেরা শুরু হয়। যদিও স্বামী রণবীরকে তার সঙ্গে দেখা যায়নি।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দীপিকা আজ সময়মতো হাজির হলেও সারা এবং শ্রদ্ধা দেরিতে পৌঁছান। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ এনসিবি’র দফতরে শ্রদ্ধা-সারার পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের থেকে দু’জনেই ঘণ্টা খানেক সময় চেয়ে নেন। এর পর বেলা ১২টা নাগাদ এনসিবি’র দফতরে পৌঁছান শ্রদ্ধা। তারও এক ঘণ্টা পর সারা আসেন।
সূত্রের খবর, সারা এবং শ্রদ্ধা দু’জনেই আজ সকালে তাদের পারিবারিক আইনজীবীর সঙ্গে মিটিং করেছেন। শুক্রবার দীপিকা এবং রণবীর শহরের এক পাঁচটারা হোটেলে নামজাদা আইনজীবীর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেছেন।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের হত্যার তদন্তে যে মাদক যোগ উঠে এসেছে, তাতে দীপিকার পাশপাশি উঠে এসেছে শ্রদ্ধা, কপূর, সারা আলি খান এবং রাকুল প্রীত সিংহের নামও। সেই মর্মেই গত বুধবার বলিউডের ওই চার অভিনেত্রীকে এনসিবি সমন জারি করেছিল।
গতকালই রাকুলকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি চার ঘণ্টা জেরা করেছে। সূত্রের খবর, জেরায় রাকুল জানিয়েছেন, রিয়ার সঙ্গে তার যে মাদক সংক্রান্ত চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে তা সত্যি। তবে তিনি নিজে কোনওদিনও মাদক নেননি। সুশান্তের প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহার সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুরের মাদক সংক্রান্ত একটি চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই এনসিবি’র নজরে আসেন শ্রদ্ধা। সেই চ্যাটে জয়া শ্রদ্ধাকে লিখেছিলেন, “সিবিডি অয়েল তোমার জন্য সংগ্রহ করে রেখেছি। পাঠিয়ে দেব”। প্রত্যুত্তরে শ্রদ্ধা লেখেন, “ধন্যবাদ। আমি এসএলবির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। “ খুব সম্ভবত এসএলবি মানে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালীর কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। আর জয়া শ্রদ্ধার জন্য যে বস্তুটি কিনে রাখার কথা বলেছিলেন তা আদপে গাঁজা থেকে নিঃসৃত তেল জাতীয় পদার্থ। পুরো নাম ক্যানাবিডিয়ল।
অন্য দিকে এনসিবি সূত্রে খবর, মাদকযোগে সারার নাম রিয়া চক্রবর্তী প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। রিয়া জেরায় বলেন, ‘কেদারনাথ’ শুটের সময়েই সুশান্ত মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। তখন থেকেই তিনি নাকি সিগারেটের মধ্যে গাঁজা পুরে খাওয়ার অভ্যাস করেছিলেন। প্রসঙ্গত ওই ছবিতেই সুশান্তের বিপরীতে ছিলেন সারা। যদিও রিয়ার আইনজীবীর বক্তব্য এনসিবি’র জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর মক্কেল কোনও বলিউড স্টারের নাম নেননি।
এনসিবি’র নজরে রয়েছে সুশান্তের পাভনার ফার্মহাউজের পার্টিও। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে সুশান্তের ওই ফার্মহাউজেই দিনের পর দিন জোরদার পার্টি চলতো। বলিউডের একাংশের মতে সেই পার্টিতে মদ- গাঁজা তো ছিলই, সঙ্গে মাদকও চলতো। শ্রদ্ধা সুশান্তের ভাল বন্ধু ছিলেন। সারা এক সময় সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সুশান্তের ওই পার্টিতে নাকি তাদেরও অবাধ যাতায়াত ছিল।
তবে দীপিকা, সারা, শ্রদ্ধা অথবা রাকুল, কারও বিরুদ্ধেই এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের হয়নি। জানা গেছে তদন্তের প্রয়োজনেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।