সুখবর! আগামী ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনের আগেই শেষ হতে চলেছে সাঁতরাগাছি সেতু সংস্কারের কাজ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই রাজ্য পূর্ত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর পিকনিকের আমেজে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য সাঁতরাগাছি সেতু সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। এই মর্মে শনিবারই ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়।
উল্লেখ্য,১৯ নভেম্বর মধ্যরাত থেকেই বন্ধ হয়ে যায় সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল। প্রায় দেড় মাস ধরে যান নিয়ন্ত্রণ হবে সাঁতরাগাছি সেতুতে। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সেতু সংস্কারের জন্যই ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাঁতরাগাছি সেতুতে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র ২ বা ৪ চাকার হালকা গাড়ি গুলিই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে বলেই সূত্রের খবর। এক্ষেত্রে পণ্যবাহী ভারী গাড়িগুলিকে আন্দুল রোড, মাকড়দহ রোড ও নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে চালানো হবে। আপাতত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলেও আগামীতে সেতুটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, রাত ১১টার পর কলকাতামুখী মালবাহী গাড়ি দ্বিতীয় সেতুর টোল প্লাজা হয়ে আন্দুল রোড দিয়ে আসতে পারবে। এছাড়া নিবেদিতা সেতু হয়েও মালবাহী লরি ট্রাক নিবেদিতা সেতু হয়ে কলকাতায় ঢুকতে পারবে। অন্যদিকে, খড়গপুর থেকে আসা পণ্যবাহী ভারী ট্রাক টালার দিকে যেতে হলে ধূলাগড়, নিবড়া, সিসিআর ব্রিজ হয়ে নিবেদিতা সেতু হয়ে টালা ব্রিজ ধরতে পারবে। দেড় মাস রাত এগারোটা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে এভাবেই চলবে গাড়ি চলাচল। যদিও আমতা রোড, ডাঃ ভোলানাথ চক্রবর্তী রোড দিয়ে সবসময় যাতায়াত করতে পারবে গাড়ি ও বাস।
নবান্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সাঁতরাগাছি সেতুটির পরিকাঠামোগত অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। সাঁতরাগাছি ব্রিজের কলকাতামুখী ২১টি এক্সটেনশন জয়েন্ট খারাপ হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে সেতুটির উপর দিয়ে ২ চাকা, ৪ চাকা থেকে শুরু করে পণ্যবাহী ভারী গাড়িগুলি চলাচলের ফলে সেতুটির অবস্থা আরও খারাও হয়েছে। এর ফলে নিত্যদিনই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই এই সেতুটি ভেঙে ফেলে অন্য একটি সেতু নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে নতুন সেতু তৈরি করতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে বলেই জানা গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে যাতে ২ বা ৪ চাকার হালকা গাড়ি গুলিই চলাচল করতে পারে, সেজন্য ইতিমধ্যেই সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।