জেলা

স্কুলে স্কুলে চলছে স্যানিটাইজেশন

হাতে আর মাত্র তিনদিন। তারপরেই দীর্ঘদিন পর খুলবে স্কুল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলছে স্কুল। তবে ছোটদের ক্লাস এখনই চালু না হলেও, নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন শুরু হবে এখন। শুধু প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নয়, সব ক্লাসই হবে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে স্কুলে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। কলকাতার পাশাপাশি জেলার স্কুলগুলিতেও জোর তৎপরতা ও প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পরই স্কুলে স্কুলে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি–পর্ব। জোর কদমে চলছে স্যানিটাইজেশন পর্ব। এই ছবি ধরা পড়েছে জলপাইগুড়িতেও। এলাকার সমস্ত বিদ্যালয়গুলি স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করে দিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। করোনার জেরে প্রায় ১০ মাস বন্ধ ছিল স্কুলের পঠনপাঠন। এবার রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো আগামী ১২ তারিখ থেকে খুলছে সব বিদ্যালয়। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এসে পঠনপাঠন করতে পারবে। সেখানে যাতে কেউ অসুস্থ না হয়ে পড়ে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কলকাতার বেশ কয়েকটি স্কুলে ইতিমধ্যেই স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর জলপাইগুড়ি শহর ও শহরতলির বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়গুলির কক্ষগুলিকে পুরসভার পক্ষ থেকে স্যানিটাইজেশন করার কাজ শুরু হয়েছে। ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুানাশক। শ্রেণি কক্ষের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন এলাকাও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। অন্যান্য জেলাগুলিতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। সরকারি স্কুল–বেসরকারি স্কুল খোলার জন্য স্যানিটাইজেশন করছে।
উঁচু ক্লাসগুলির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হলেও, প্রাথমিক বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা আপাতত অনলাইনের মাধ্যমে পঠনপাঠন করবে। আশা করা যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের পর তাও খুলে যাবে। কারণ নির্বাচনের সময় স্কুলগুলিতে বসে পোলিং বুথ। তাই এখন প্রাথমিক স্তরে স্কুল খোলা হচ্ছে না। ওই কদিন স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে। তারপর আবার হবে স্যানিটাইজেশন। তখন থেকেই খুলে যাবে প্রাথমিক স্তরের স্কুলজীবন বলে সূত্রের খবর।