জেলা

প্রবীর ঘোষালকে নিয়ে গুঞ্জন পোস্টার

বেসুরো থেকে শোকজ। আর তারপরই জেলাজুড়ে শুরু হয়ে গেল পোস্টার রাজনীতি। সেই পোস্টারে দেখা গেল, হাত–জোড় করা প্রবীর ঘোষালের ছবি। আর তার নীচে লেখা দাদার অনুগামী। যেমনটা–শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় হয়েছিল। এবার ছবির পেছনের রঙ সেই গেরুয়া। এমনই পোস্টার পড়ল হুগলির কোন্নগর এলাকায়। এই পোস্টারের ছবি সামনে আসতেই জোর জল্পনা জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত শ্রমিক মেলার পোস্টারের পাশেই দেখা গিয়েছে দাদার অনুগামী প্রবীর ঘোষালের পোস্টার!
গত ২৬ জানুয়ারি সাংবাদিক বৈঠকে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তারপর পদত্যাগ করেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কোর কমিটির সদস্য পদ ও জেলা মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রবীর ঘোষাল। যদিও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। তবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পদত্যাগের পরই তাঁকে শোকজ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি পুরশুড়ায় তৃণমূলনেত্রীর সভায় যাননি। তবে শুক্রবার নেত্রীর বাসভবনের বৈঠকে তিনি যান কিনা সেটাই এখন দেখার।
এই মুহূর্তে দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন প্রবীর ঘোষাল। এবার সেই প্রবীর ঘোষালের নামেই দাদার অনুগামী পোস্টার পড়ল কোন্নগরে। আর তাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে গুঞ্জন। এবার কি তবে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক? উঠছে প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো বিধায়ক। তারপর আবার গেরুয়া পোস্টার পড়ল!
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেও এরকমই বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছিল দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু।দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার পড়েছে মন্ত্রিত্বত্যাগী বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও। তিনি এখন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন প্রবীর ঘোষাল।