ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন সাধন পাণ্ডের

চোখের জলে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের। বাবাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে। তার আগে বিধানসভায় প্রয়াত সাধন পাণ্ডেকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মরদেহে মাল্যদান করেন বিরোধী দলের নেতারাও।

সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ রাজ্যের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের দেহ নিয়ে আসা হয় বিধানসভায়। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান হয়। বাবার প্রয়াণে কান্নায় ভেঙে পড়েন শ্রেয়া।বিধানসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষরা। সাধন পাণ্ডের মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর বিধানসভা থেকে মন্ত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে। যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই গান স্যালুটের মধ্য দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর।

দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর রবিবার সকালে মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সাধন পাণ্ডে। গতকাল রাতেই তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে থাকার পর এদিন সকালে উত্তর কলকাতার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। তারপর বিধানসভায় বর্ষীয়ান মন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।

রাজ্য রাজনীতিতে সাধন পাণ্ডে ছিলেন সেই স্পষ্টভাষী নেতা, যাঁরা  কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে সোজা কথা সোজা করে বলতে পারেন। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের টিকিটে মোট ৯ বার বিধানসভা ভোটে লড়েছেন সাধনবাবু। একবারও বিধানসভা ভোটে তাঁকে হারের মুখ দেখতে হয়নি। মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।