রাজস্থানে রাজনীতি জমজমাট। শনিবার দিন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট অভিযোগ করেছিলেন, টাকা ছড়িয়ে কংগ্রেস ও নির্দল বিধায়ক কিনে রাজ্যে কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে বিজেপি। আর রাত পোহাতেই অশোক গেহলট শিবিরের আরও অভিযোগ, ভেতরে ভেতরে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন শচীন পাইলট। ফলে মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পর শচীন পাইলটও কংগ্রেস শিবির ছাড়ছেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। যদি এই জল্পনা সত্যি হয় তাহলে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রাজস্থান কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের এই সমস্যা নিয়ে দিল্লির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শচীন পাইলট। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে এড়িয়ে চলছে দল। সংবাদমাধ্যমের খবর, রাজস্থানের দুই শীর্ষ নেতাকেই ডেকে পাঠাতে পারে হাইকমান্ড। তবে দলের মধ্যে চোরাস্রোত বইছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। আবার জ্যোতিরাদিত্য এবং শচীন পাইলট অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ফলে জ্যোতির ডাকে শচীন সাড়া দিয়েছে কিনা তা এখনও কেউ নিশ্চিত নন। ফলে শচীন নিয়ে চাপে কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, শনিবার অশোক গেহলট দলের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন নিজের বাসভবনে। সেই বৈঠকে যাননি শচীন পাইলট। তারপরই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট অভিযোগ করেন, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকাকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি। দেশ যখন করোনা সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কে কাঁটা তখন রাজ্যের বিধায়কদের বিপুল টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। একজন বিধায়ককে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অফার দেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানের রাজনীতি জমে ক্ষীর হয়ে গিয়েছে। অশোক গেহলটকে বলতে হচ্ছে, রাজ্য সরকারকে ক্রমাগত বিপাকে ফেলার চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি। দেশের মানুষের জানা উচিত, রাজ্যে কংগ্রেস একাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তার মধ্যেই বিজেপি আপ্রাণ চেষ্টা করছে কীভাবে এই সরকারকে ফেলা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারকে সহ্য করতে পারছে না। তাই তাঁরা ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু দলের অন্দরের চোরাস্রোত প্রকাশ্যে বলছেন না তিনি।