ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। এতদিন তাঁর প্রোফাইলের ডিপিতে ঝলমল করছিল তাঁদের দুজনের ছবি। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর ভেঙে পরেছেন সব্যসাচী। আর সেই কারণেই আজ ফেসবুকে কোনও অস্থিত্ব নেই সব্যসাচীর। ইনস্টাগ্রামে অবশ্য এখনও রয়েছে সব্যসাচীর প্রোফাইল। তবে সেখানে তেমন সক্রিয় নন অভিনেতা। এই মুহূর্তে নিজেকে হয়তো একটু একা রাখতে চান সব্যসাচী, সেই কারণেই ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
গত ২ নভেম্বর ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ঐন্দ্রিলা। তার পর থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। এর মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হৃদ্যন্ত্র স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছিল বার বার। শনিবার রাতে পরিস্থিতি আরও কঠিন, তবুও জারি ছিল লড়াই। সারা রাত জুড়ে একের পর এক হার্ট অ্যাটাক। সারারাতে অন্তত ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় অভিনেত্রীর। সিপিআর দেওয়া হয় অভিনেত্রীকে। ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলার শরীরে কোন সাড় ছিল না। রবিবার দুপুরে থেমে যায় ঐন্দ্রিলার জীবন সংগ্রাম।
এর আগে মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করেছেন। একবার নয় দু-দু’বার এই লড়াইয়ে জিতে ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী। তারপর বেশ কিছুদিন সুস্থই ছিলেন ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁর এবং সব্যসাচীর ভক্তরা তাঁর আরোগ্য কামনা করতে থাকেন। সকলেই প্রার্থনা করেন প্রতিবারের মতোই এবারেও যেন তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।
শুধু ভক্তরা নয়, সেলিব্রিটি, যেমন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সহ অনেকেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন। ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট’ পোস্টে ভেসে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু সবটাই বিফল করে অন্য জীবনে পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী। সকলের প্রার্থনাকে পিছনে ফেলে চলে গেলেন অনন্তলোকে।