রাজ্য জুড়ে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। উত্তর ২৪ পরগনার কুমড়া পঞ্চায়েত।তৃণমুল কংগ্রেসের দখলে থাকা এই পঞ্চায়েতটি হল একটি বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত।এখানকার ২৯টি সদস্যই শাসকদলের।রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভার অন্তর্গত এই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন রত্না বিশ্বাস। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে পঞ্চায়েতের বেশ কিছু সদস্য।সেই সময় হাবরা ১ নং ব্লকের অধিন এই পঞ্চায়েতে অনাস্থায় বুধবার পদ হারালেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান।আর প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন তৃণমুল কংগ্রেসের সদস্য ও সদস্যারা।
বুধবার হাবরা ১ নং এর বিডিও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে অনাস্থার ভোটাভুটি হয় পঞ্চায়েতে।প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ভোটাভুটির জন্য যথেষ্ট পুলিসি ব্যবস্থা ছিল।২৯ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতের ২৪ জন সদস্য ও সদস্যা এই দিন ভোট দেয় প্রধান রত্না বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।পঞ্চায়েত সদস্যা কানন বালা সরকার রায় জানান, প্রধান সদস্যদের সঙ্গে বরাবর দূর্ব্যবহার করছিলেন।সেই কথা হাবরার বিধায়ক ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জানান হয়, মন্ত্রীর পরামর্শ মত তাঁরা এই অনাস্থায় প্রধান রত্না বিশ্বাসকে সরিয়ে দিলেন।
এবার হাববার কুমড়ো পঞ্চায়েতের উন্নয়নে গতি আসবে। দলের ঠিক করে দেওয়া নতুন প্রধানের হাত ধরে উন্নয়নের বন্যা বইবে এই পঞ্চায়েতে দাবি, তৃণমুল কংগ্রেসের সদস্যার।
হাবরা ব্লক এস টি এসসি সেলের সভাপতি বাপি মজুমদার বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করেছিল কুমড়োর প্রধান।সুযোগ পেয়েও নিজেকে পরিবর্তন করেন নি তিনি।আর সে কারণেই আজ অনাস্থায় তাঁরা তাদের দলের প্রধানকে সরিয়ে দিলেন।