রবিনসন স্ট্রিটকেও যেন হার মানাল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ। কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে মৃতা দিদি দেবযানীর সঙ্গে ভাই পার্থর সহাবস্থানের ঘটনাকে মর্মস্পর্শী অবস্থানের মাপকাঠিতে ছাপিয়ে গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ। এখানে মৃতা দিদিমা সন্ধ্যা রানী ঝা’র সঙ্গে নাবালিকা নাতনি রানী চৌধুরী তিনদিন ধরে একঘরে সহাবস্থান করছিল। অনাথ মেয়েটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। মৃতা দিদিমাই কার্যত তাকে আজন্ম আগলে রেখেছিলেন। এবার দিদিমার মৃত্যুর পরে দিদিমার দেহ আগলে রেখেছিল নাবালিকা।
বৃহস্পতিবার শিহরণ জাগানো ঘটনাটি সামনে আসলে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করেছে। যে মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকা তিনদিন ধরে অভুক্ত অবস্থায় চুপ করে দিদার মৃতদেহ আগলে বসেছিল তাকে হোমে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয়রা গতকাল বৃদ্ধার বাড়ি যান। তখনই নজরে আসে বৃদ্ধার দেহ ঘরে পড়ে রয়েছে। দেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। আর তার পাশেই বসে আছে তাঁর নাতনি রানী। স্মৃতিদেবীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। সবকিছু খতিয়ে দেখার পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সোমবার রাতে বা মঙ্গলবার মারা যান সন্ধ্যা রানী ঝা। মারা যাওয়া দু’দিন পেরিয়ে যাওয়ায় শরীরে পচন ধরেছিল। যার ফলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এদিকে ওই বৃদ্ধার নাতনী মৃতদেহ সঙ্গে দু’দিন কাটায়। এমনকি দু’দিন ধরেই অভুক্ত অবস্থায় ছিল সে। বিষয়টি নজরে আসার পরে ওই মানসিকভাবে অসুস্থ নাবালিকাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন প্রতিবেশীরা। যদিও বর্তমানে পুলিশ তার দেখভাল করছে।