জেলা ব্রেকিং নিউজ

মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট

গভীর রাতে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে এক প্রবীণ দম্পতির উপর প্রাণঘাতী হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি লুটপাটও চালায় তারা। ওই দম্পতিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে গৃহকর্ত্রী গায়ত্রী মল্লিকের (৫৮)। ব্যান্ডেলের কোদালিয়ার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চুঁচুড়া-হুগলি পুর এলাকা সংলগ্ন কোদালিয়া পঞ্চায়েতটি অভিজাত এলাকা হিসেবেই বিবেচিত। কোদালিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছেই সাজানো বাড়ি অজয়কুমার মল্লিকের (৬৩)। উল্টোদিকেই
থাকেন একদা জাতীয় ফুটবলার তন্ময় বসু। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে অভিষেক গয়ায় ব্যাঙ্কে চাকরি
করেন। অজয়বাবু নিজেও বিহার বিদ্যুৎ পর্ষদে চাকরি করতেন এক সময়ে। অবসরের পর পাকাপাকিভাবে চলে আসেন ব্যান্ডেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা কোনওভাবে কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ও মেন গেটের ছিটকিনি খুলে বাড়িতে ঢোকে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। প্রৌঢ় দম্পতি ঘুমিয়ে থাকায় টের পায়নি। দুষ্কতীরা গায়ত্রীদেবীর কান থেকে দুল খুলে নেওয়ার সময় ঘুম ভাঙে তাঁর। তিনি চিৎকার করে উঠলে দুষ্কৃতীরা ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। একইভাবে পাশে শুয়ে থাকা অজয়বাবুকেও ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন দু’জনেই।

শুক্রবার সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, তছনছ অবস্থা। দেওয়ালে রক্তের দাগ স্পষ্ট। চুঁচুড়া থানার আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেছেন। এসেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদার ঘটনাস্থল ঘুরে যান। স্থানীয় মানুষ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানালে বিধায়ক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, সাধারণ গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে লুটপাট করবে, এটা বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। এলাকার মানুষ রাস্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি তুলেছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে চন্দননগরে একটি স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। একজন ছাড়া সব দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে। লুট হওয়া জিনিসও উদ্ধার হয়েছে। ওই দুষ্কৃতীরা বিহারের বাসিন্দা ছিল। বিহারের কোনও গ্যাং এই এলাকায় অপারেশন চালাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।