সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর গোটা ভারতের শোবিজ পাড়া যখন উত্তাল পরিবারতন্ত্র ও ইমেজতন্ত্রের বিরুদ্ধে তখন টলিউডে শ্রীলেখা মিত্র সেই আগুনে ঘি ঢাললেন। দিন দুই আগে ইউটিউবে শ্রীলেখা একটি ভিডিও পোস্ট করেন। টলিউডেও স্বজনপ্রীতি রয়েছে বলে সেখানে তিনি অভিযোগ তোলেন। এখানেও সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর শিল্পীর কাজ পাওয়া বা না পাওয়া নির্ভর করে। তিনি সরাসরি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটে স্বজনপোষণ এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে শ্রীলেখা মিত্র যে অভিযোগ করেছেন তা নিয়ে এরই মধ্যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মুখ খুলেছেন।
শুধুমাত্র প্রসেনজিতের সঙ্গে জুটি বেঁধেই কাজের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, ২০০১-২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির আর কোনো ছবি হয়নি। তারপরেও ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন ছবি করে তিনি নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
এদিকে ‘অন্নদাতা’ ছবি নিয়ে শ্রীলেখা যে অভিযোগ করেছেন সে প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ছবির প্রযোজক অশোক ধানুকাও। তার কথায়, ‘আমি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ‘অন্নাদাতা’ ছবির জন্য প্রথম ফোন করেছিলাম। তবে ঋতুপর্ণা সেসময় আমেরিকাতে ছিলেন, তাই আমি শ্রীলেখা মিত্রকে নিয়েছিলাম। তবে সেসময় দর্শক যাদের দেখতে চাইতো, তাদেরকেই সাধারণত সিনেমায় কাস্ট করা হতো। আর শ্রীলেখা ‘অন্নদাতা’র আগে কোনো ছবিতে নায়িকা হননি। তাই আমি শ্রীলেখার উপর ভরসা করতে পারিনি। আসলে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ছবি চলতো, তাই এই জুটিকে নেওয়া হতো। এটা সিনেমা ব্যবসায়ের বড় মুলধন। বুম্বাদা কোনোদিনই একে নিতে হবে, ওকে নিতে হবে বলে ঠিক করে দেননি।’
তবে শ্রীলেখার অভিযোগ নিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এখনই কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননা বলে জানিয়েছেন।