প্রতি বছর যেসব কারণে মানুষ মারা যায়, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি কারন হল আত্মহত্যা। করোনার প্রকোপে মহামারির মত বাড়ছে আত্মহত্যা। করোনায় মানুষ দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে বেরতে না পারায় বেড়েছে মানসিক সমস্যা। টিনেজারদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সর্বাধিক। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ১৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষন্নতায় ভুগছেন মানুষ। ফল স্বরূপ আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিতেও আটকাচ্ছেনা অনেকের। তবে এর পেছনে বিশেষজ্ঞরা মূলত ঠিক কি কি কারনকে দায়ী করছেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
• বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে যৌন হেনস্তা অন্যতম প্রধান একটি কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশে যৌন হেনস্থার শিকার হলে আজও তাকে সমাজে ভাল চোখে দেখা হয়না এবং সেইকারনেই বেশিরভাগ মানুষ যারা এই ঘটনার শিকার হন তারা তা প্রকাশ করতে পারেননা। ফলে ধীরে ধীরে নিজের প্রতি ঘৃণা বাড়তে থাকে। একসময় তা আত্মহত্যার রুপ নেয়।
• আশানুরুপ ফল না পাওয়ায় হীনমন্যতায় ভোগেন বেশিরভাগ মানুষই। তবে এর থেকেও অনেকে আত্মহত্যায় প্রবৃত্ত হন।
• এছাড়াও প্রিয় জনের মৃত্যু, কটাক্ষ বা মশকরা, বিভিন্ন মানসিক চাপ থেকেও এরুপ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আত্মহননকারীরা।
আপনার বাড়ির কেও এই সমস্যার শিকার নয়ত? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখলেই তা বোঝা যাবে, যেমন প্রতিদিনের কাজে অনীহা, রাতে ঘুম না হওয়া, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, ধীরে ধীরে স্মৃতি দুর্বল হয়ে যাওয়া, খিদে না পাওয়া বা বেশি খিদে পাওয়া উভয়ই ক্ষেত্রেই বুঝতে হবে আপনার কাছের মানুষটি মানুষিক চাপে ভুগছেন।
এরূপ পরিস্থিতি দেখলে আপনার প্রিয়জনের সাথে ভালোভাবে কথা বলুন। তাঁকে বিভিন্ন কাজে আগ্রহী করে তুলুন। সময় ও সুযোগ বুঝে বাইরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যান। এতে তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটবে এবং ধীরে ধীরে আপনার কাছের মানুষটি অবসাদ মুক্ত হবে।