আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা পেতে চলেছেন জো বিডেন। কিন্তু, এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপিও হয়েছে বলে লাগাতার অভিযোগ জানিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ভোটে জালিয়াতি নিয়ে তাঁর একের পর এক অভিযোগ খারিজ করেছে মার্কিন আদালত। তবে কোনও না কোনওভাবে বোঝাতে চাইছেন যে তাঁকে অন্যায়ভাবে হারানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার পুরনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন।
এবার ট্রাম্পের ভিডিও বার্তায়ও ফেসবুক–টুইটারের ওয়ার্নিং পড়ে যাওয়ায় আখেরে তাঁর পক্ষে কতদূর কী করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় তুঙ্গে। নির্বাচনের রাতেও তাঁর একটি পোস্টকে ফ্ল্যাগ করেছিল টুইটার। ফেসবুক আবার বিভ্রান্তি আটকাতে সে পোস্টের উপরে কিছু ব্যাখ্যা দিয়ে রাখে। তবে ট্রাম্পের দাবিতে দুই বিশাল সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থারই ওয়ার্নিং, স্মরণকালের মধ্যে মনে করতে পারছেন না অনেকে।
আমেরিকার বিখ্যাত কুস্তিগীর ও কোচ ডান গাবেলকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই উপলক্ষ্যে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গই টেনে আনেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাসখানেক আগে হয়ে যাওয়া ওই নির্বাচনের ফলে আমেরিকার সম্মান নষ্ট হয়েছে বলেও দাবি করেন। তাঁর মতে, আমেরিকার গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর সুসংহত হামলা চালানো হয়েছে। তবে ট্রাম্প–প্রশাসনের আধিকারিকদের অনেকে এই অভিযোগ খারিজ করেছেন। এঁদের মধ্যে অন্যতম অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। সম্প্রতি বার জানান, মার্কিন বিচার দপ্তর নির্বাচনী কারচুপির এমন কোনও প্রমাণ পায়নি যা থেকে নভেম্বরের ভোটের ফলাফল নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও কারচুপি হয়েছে। আমাকে রিগিং করে হারানো হয়েছে। ব্যালেটগুলি সমস্ত জায়গা থেকে পাঠানো হয়েছে। যে মেশিনারি ব্যবহার করা হয়েছে যার মালিকানা সম্পর্কে কেউ কিছুই জানে না। ওরা ভুল করেছে। কিন্তু, কোনওভাবেই তা মানতে পারছে না। আর শুধু ভুল নয় ওরা হাজারের বেশি ভোট পাঠাতে গিয়ে ধরা পড়েছে ওগুলি সব আমার বিরুদ্ধে ছিল।’
