সমাজতন্ত্রের কথা যারা বারবার বলে এসেছে, এবার তা প্রকৃত সমাজতন্ত্রের প্রমাণ দিল। মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে নিদর্শন গড়ল ভিয়েতনাম। নেপথ্যে—করোনাভাইরাস বা কোভিড–১৯। তার জেরে সেখানেও এখন চলছে লকডাউন। ৩১ মার্চ থেকে ভিয়েতনামেও চলছে লকডাউন। সংক্রমণ এড়াতে মানুষদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সব থেকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে গরীব–দুঃস্থ মানুষদের। দু’বেলা খাবার জোটাতে মুশকিলে পড়তে হচ্ছে তাদের। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারি অনুদান না পেলে গরীব মানুষের সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। সব সময় সরকারি অনুদানও বাড়ি বাড়ি পৌঁছয় না। ভিয়েতনামের সরকার তাই একটি অভিনব পদ্ধতিতে চাল পৌঁছে দিয়েছে দুঃস্থ মানুষের কাছে।
চালের এটিএম চালু করা হয়েছে একাধিক এলাকায়। এটিএম থেকে বেরিয়ে আসছে চাল। গরীব মানুষরা ব্যাগে করে সেই চাল সংগ্রহ করছেন। খাবার জুটছে বহু মানুষের। ছোট ব্যবসায়ী, দিনমজুর, গৃহকর্মীর মতো স্বল্পআয়ের মানুষের ভাতের বন্দোবস্ত হচ্ছে সেখান থেকে। লকডাউনের সময় সারাদিন সেই এটিএম মেশিন থেকে চাল পাচ্ছেন দুঃস্থ মানুষরা। দেড় কেজি করে চাল বেরিয়ে আসছে সেইসব এটিএম থেকে।
উল্লেখ্য, ভিয়েতনামে এখনও পর্যন্ত ২৬৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর হয়নি। এটিএম থেকে চাল নিয়ে নগুয়খন থি লি নামের এক মহিলা বলেন, ‘আমার স্বামী এখন বেকার। ওর কাজ নেই। তিন সন্তানের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। এটিএম থেকে চাল নিচ্ছি। পড়শিরা উদ্বৃত্ত খাবার দিয়ে সাহায্য করছে। দিন চলে যাচ্ছে। কিছুটা সমস্যা মিটেছে।’ আর বাকিরা বলছেন, তোমার নাম আমার নাম–ভিয়েতনাম।