আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে জেল হেপাজতে পাঠাল মুম্বইয়ের এনডিপিএস আদালত। যতই তিনি মাদক কাণ্ডে একের পর এক নাম জড়িয়ে দিক তাতে আখেরে তাঁর লাভ হচ্ছে না এটা স্পষ্ট হয়ে গেল। সুতরাং আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত রিয়া চক্রবর্তী, সৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাদের জেলেই থাকতে হচ্ছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৩ মাস পর গ্রেপ্তার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। মাদক যোগ থাকায় এনসিবি তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর বাজেয়াপ্ত করা হয় ল্যাপটপ, মোবাইল–সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। তারপর থেকেই মাদক তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। গ্রেপ্তারের পর ভাই সৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং দীপেশ সাওয়ান্তদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা শুরু করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
এদিন এনসিবি ফের রিয়ার জেল হেপাজতের আর্জি জানায়। আর তাতে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন। আগামী বুধবার সেই আবেদনের শুনানি হবে বলে খবর। জেরার সময় রিয়া চক্রবর্তী দাবি করেন, বলিউডের ৮০ শতাংশ তারকা মাদক সেবন করেন। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রথমসারির অভিনেতা, অভিনেত্রীও রয়েছেন। সেই দাবি অনুযায়ী প্রথমেই উঠে আসে সারা আলি খানের নাম। এরপর দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের মাদক নিয়ে কথপোকথন প্রাকশ্যে আসতেই সরগরম হয়ে ওঠে বলিউড।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক যোগের অভিযোগ রিয়াকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, মৃত অভিনেতাকে মাদক সরবরাহ করতেন রিয়া। সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের মাদক–যোগ নিয়ে উত্তাল হয়েছে সংসদও। শাসক–বিরোধী তরজা দেখা গিয়েছে সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে। তবে রিয়ার ম্যানেজার জয়া সাহার সঙ্গে ক্রমাগত মাদক কারবারী ও পাচারকারীদের যোগাযোগের জেরে শিগগিরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলেও খবর।
