মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মান্যতা পেল কলকাতা হাইকোর্টে। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত আরজি করের ৫১ জন চিকিৎসকের সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসকদের এই সাসপেনশন কার্যকরী নয়। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে এই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলে ৫১ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল আরজি কর থেকে। তাঁদের মধ্যে ২০ জন হাউস স্টাফ, ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট, একজন রিসার্চ সায়েন্টিস্ট এবং ১১ জন ইন্টার্ন রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে সাসপেনশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই ‘থ্রেট কালচারে’ ৫১ জন চিকিৎসকের সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত মামলায় স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, আপাতত এই নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ জানিয়ে দেয় সাসপেনশন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে রাজ্য সরকার।
সাসপেনশনের প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাসপেন্ড হওয়া ৮ জন চিকিৎসক। তাঁরা বলেন, যারা অভিযোগ করেছে এবং যে অভিযোগের ভিত্তিতে সাসপেন্ড করা হয়েছে তার কোনও অস্তিত্ব এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী, অর্ডারেও স্পষ্ট নয়, কেন তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই হয়েছে এই সাসপেনশন। তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশ আরজি কর হাসপাতালে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বড়সড় স্বস্তি দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।