আরজি কর কাণ্ডে সরকারি হাসপাতালে জুনিয়ার মহিলা ডাক্তারকে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ করে খুনের বিচারের দাবিতে উত্তাল সারা বাংলা। এর মধ্যেই বড় পদক্ষেপ আরজি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের। প্রবল চাপের মুখে দিলেন ইস্তফা দিলেন সন্দীপ ঘোষ।
ইস্তফা ঘোষণা করে সোমবার সাংবাদিকদের সামনে সন্দীপ বলেন, “আমার ইস্তফাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাম্য ছিল। সারা রাজ্যের এটাই কাম্য ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। আশা করব, এ বার ছাত্র-ছাত্রী এবং জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরবেন। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন মাধ্যমে আমি যে কটূক্তি সহ্য করেছি, আমার পরিবার, সন্তানেরা যা সহ্য করেছে, তাতে বাবা হিসাবে আমি লজ্জিত। তাই আমি পদত্যাগ করলাম। আশা করি আপনারা ভাল থাকবেন।”
স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানালেও আরজি করের ঘটনায় সন্দীপ ‘রাজনীতির খেলা’ দেখছেন। তিনি বলেন, “আমার মুখে কথা বসিয়ে রাজনীতির খেলা চলছে। বিরুদ্ধ গোষ্ঠী এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে। আমি কোনও দিন এ সব খেলা খেলিনি। আমি সরকারি কর্মচারী। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করব। আশা করব, ছাত্র-ছাত্রীরা শীঘ্রই কাজে যোগ দেবেন।”
অধ্যক্ষের পদত্যাগের খবর পেয়ে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁরা মুখের কথা বিশ্বাস করেন না। অধ্যক্ষের লিখিত পদত্যাগপত্র দেখতে চান। সেই সঙ্গে অধ্যক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।