৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে গেল আর জি কর হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের মেডিসিন ওয়ার্ড। সূত্রের খবর, নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি ভর্তি থাকায় হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। চলছে ফিউমিকেশনের কাজ। পুরুষ বিভাগের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর বন্ধ করে দেওয়া হল মেডিসিন ওয়ার্ড।
হাসপাতালের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জরুরি বৈঠক। কীভাবে ওই ওয়ার্ড বন্ধ রাখা হবে, কীভাবে তা জীবাণুমুক্ত করা হবে, কোন কোন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে সেই সমস্ত বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। স্বাস্থ্য ভবনের চূড়ান্ত নির্দেশ মিললেই এসব কার্যকর করা হবে। ইতিমধ্যেই আগামী দু’দিন ধরে চলবে জীবাণু–নিধনের এই কাজ। মেডিসিন বিভাগের সমস্ত রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কোয়ারেনটিনে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীদের।
আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেল ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা দু’জন ব্যক্তির শরীরে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তার মধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। যদিও এই বিষয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্যভবন কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সূত্রের খবর, জীবিত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির নিজামুদ্দিনের ধর্মসভার যোগ রয়েছে। হাবড়ায় সে লুকিয়েছিল। অসুস্থতা ঢাকতে না পেরে প্রথমে হাবড়া হাসপাতাল ও পরে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয় ওই ব্যক্তি।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ শুদ্ধোধন বটব্যাল বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কাদের নমুনা পাঠানো হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডটি জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হবে। দু’জন ব্যক্তির বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
